
দেশ ছেড়ে পালানোর প্রায় সাত দিন পর নীরবতা ভেঙেছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পেছনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগ করেছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শনিবার তার দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়েছেন। এই বার্তায় তিনি এমন অভিযোগ করেন। বার্তাটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট দেখতে পেয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তিকে অভিযুক্ত করে নিজের নীরবতা ভেঙেছেন।
ভারত সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ‘বিদেশিদের হাত থাকার’ সম্ভাবনার নিয়ে কথা বলার কয়েকদিন পরেই এই অভিযোগ সামনে এলো।
দ্য প্রিন্ট বলছে, শনিবার আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। বার্তাটি দ্য প্রিন্ট দেখেছে বলে দাবি করেছে। সেখানে হাসিনা বলেছেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি আমি সেন্ট মার্টিন এবং বঙ্গোপসাগর আমেরিকার কাছে ছেড়ে দিতাম।’
হাসিনা সরকার বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখেছে। চলতি বছরের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে হাসিনা বলেছিলেন, ‘একজন শেতাঙ্গ মানুষ’ তাকে একটি বিমান ঘাঁটির বিনিময়ে ক্ষমতায় মসৃণ প্রত্যাবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
নিজের সর্বশেষ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে এই ধরনের বিদেশি শক্তির মাধ্যমে ‘ব্যবহৃত’ না হওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন।
মূলত ছাত্র-জনতার কয়েক সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। পরে বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং তার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
হাসিনা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। তারা আপনাদের (ছাত্রদের) লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, আমি তা করতে দেইনি।’
তিনি দাবি করেন, ‘হয়তো আজ যদি আমি দেশে থাকতাম তাহলে আরও প্রাণহানি হতো, আরও সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত।’
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, তিনি তরুণ শিক্ষার্থীদের আবার বলতে চান, তিনি কখনোই তাঁদের রাজাকার বলেননি। তাঁর কথাগুলো বিকৃত করা হয়েছে। একটি গোষ্ঠী ফায়দা নিয়েছে।
সর্বশেষ খবর