• ঢাকা
  • ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৩৩ মিনিট পূর্বে
আরিফ হোসেন
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৮ বিকাল

অন্তহীন অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যালয় ছেড়ে পালালেন প্রধান শিক্ষক

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

ভোলার চরফ্যাসনের মুজিবনগর ইউনিয়নের চর লিউলিন বাংলাবাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তি সময়ে প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হোসেন একদিন বিদ্যালয়ে গেলেও পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় এ সংকট তৈরী হয়েছে। প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার,উন্নয়ন খাত ও অর্জিত খাতের টাকা এবং প্রতিষ্ঠানে অনুকূলে বরাদ্দকৃত বিবিধ সরঞ্জাম আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষক ও অভিভাবকরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। 

জানা যায়,বিদ্যালয়টিতে ১৯২ জন  শিক্ষার্থীর বিপরীতে এনটিআরসি থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত  ২ জনসহ ৫ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী আছে। এদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক কালে-ভাদ্রে স্কুলে গেলেও তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদাউস ২০১৫ সনে নিয়োগ পেলেও একদিনের জন্যও স্কুলে যাননি। স্বামী প্রধান শিক্ষক হওয়ায় স্কুলে না গিয়ে ও ১০ বছর বেতন তুলেছেন ওই শিক্ষিকা ।

গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা স্কুলে গিয়েও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে পারেন না। এক দেড় মাস পর পর প্রধান শিক্ষক যেদিন স্কুলে যান, সেদিন সকলে হাজিরা খাতায় পেছন থেকে সব স্বাক্ষর করার সুযোগ পান। ওই বিশেষ দিনে স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউসের স্বাক্ষর প্রধান শিক্ষক নিজেই দিয়ে দেন। ক্ষমতার পালাবদলের পর  প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতি, সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদাউসের অনিয়ম, হাজিরা খাতা প্রকাশ্যে আনাসহ নানা ইস্যুতে অভিভাবকরা স্কুলে আসতেই প্রধান শিক্ষক গা-ঢাকা দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের সদ্যবিলুপ্ত ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য ও প্রতিষ্ঠিত দাতা সদস্য মো. বাবুল মিয়া জানান,প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের আলমিরা,পুরাতন টিন-কাঠ, সীমনা প্রাচীরের কাঁটাতার,ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সোলার প্যানেল সব বিক্রি করে খেয়েছেন। একই ভাবে তিনি বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত লাখ লাখ টাকা। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নেতা হওয়ায় তার অনিয়মের কাছে অসহায় ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকরা।

শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান,শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি, পরীক্ষার ফি, রেজিস্ট্রেশন, টিউশন ফি, উপ-বৃত্তিসহ সব অর্জিত আয় কোন হিসেব ছাড়া এককভাবে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি অদৃশ্য ক্ষমতার বলয়ে থেকে তিনি এসব অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি শিক্ষকদের চাকুরি হারানোর হুমকি দিতেন তাই কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পেতো না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই এসব অন্তহীন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা মুখ খুলতেই তিনি বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন আত্মগোপনে থাকায় তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে তার কোন সাড়া না পেয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো, মহিউদ্দিন জানান, বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হবে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। খতিয়ে দেখে খুব দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুনতাসির/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com