
ভোলার চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরবর্তী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবতীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে।
যুবতীর নাম জোছনা বেগম (১৮) সে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামগঞ্জ গ্রামের নুর আলমের ছেলে রাকিবের স্ত্রী এবং হাজারীগঞ্জ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে।
জানা যায়, বুধবার বেলা ১১ টার দিকে মেঘনা নদী সংলগ্ন বেতুয়া প্রশান্তি পার্কের পাশে ব্রিজের নিচে নদী তীরে একটি মরদেহ ভাঁসতে দেখে এক রিক্সা চালক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করলেও তাৎক্ষনিক তার নাম পরিচয় সনাক্ত করতে পারিনি।
এদিকে তরুণীর মরদেহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পেয়ে তার মা কুলসুম বেগম সহ পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত হন।
যুবতীর মা কুলসুম বেগম জানান, গত রমজান ঈদের ৮ দিন পর রাকিবের সাথে তার মেয়ে জোসনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাকিব তার মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যান।
সেখানে বসবাস কালীন অবস্থায় অচেনা মানিক নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তার স্বামী রাকিবের সাথে জোসনার সম্পর্কের অবনতি হলে জোসনা বাবার বাড়িতে চলে আসে।
এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের কথাবার্তা হতো। মানিকের প্রেমের ফাঁদে পড়ে ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ি থেকে জামাকাপড় নিয়ে বের হন।
রাতে ফোন করে জোসনা জানান সে লঞ্চ যোগে মানিকের সাথে ঢাকায় যাচ্ছে।
ঢাকায় গিয়ে কয়েকদিন মোবাইল ফোনে কথা বার্তা হয়েছে মা কুলসুমের সাথে।
এরপর সোমবার মোবাইল ফোনে মানিক মা কুলসুমকে জানায় আপনার মেয়েকে দেশে পাঠাবো আমাকে খরচ পাঠান। পরে সে প্রতিবেশী এক নারীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার করে পাঠালে ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে মানিক জানায় আপনার মেয়ে জোসনা ঢাকা সদরঘাট থেকে হারিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।
পরে ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জানাতে পারি মেয়ের মরদেহ মেঘনা নদীর তীরবর্তী থেকে পুলিশ উদ্ধারকরেছে। উদ্ধারের মরদেহ'র ছবি দেখে নিশ্চিত হই।
তিনি আরো জানান, মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে চরফ্যাশন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
চরফ্যাশন থানার ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার শাহ জানান, মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুরপ্রকৃত কারণ জানা যাবে।
রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর