
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে দেবরের সাথে ভাবির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব। দ্বন্দ্বের জেরে দেবরকে ঘায়েল করতে দেবর-দেবরের ছেলেকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন ভাবি। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হলে মামলার বাদীকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শশীভুষন থানার চর কলমি ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মঙ্গল ৯ নং ওয়ার্ডে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) শশিভূষণ থানা পুলিশ ফজিলাতুন্নেছা নামের ওই নারীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
ফজিলাতুন্নেছা চর মঙ্গল গ্রামের মো. ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী এবং ৪ সন্তানের জননী। তার দেবরের নাম মো. শাহে আলম বেপারি ও দেবরের ছেলের নাম মো. মঞ্জু।
মামলার তদন্ত অফিসার শশীভুষন থানার উপ-পরিদর্শক শাহ জালাল রাঢ়ী জানান, মামলার বাদী ফজিলাতুন্নেছার সাথে দেবর শাহে আলম বেপারীর দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান রয়েছে। দেবরকে ঘায়েল করতে ফজিলাতুন্নেছা দেবর শাহে আলম ও দেবরের ছেলে মো. মঞ্জুকে আসামি করে চলতি বছরের শুরুতে চরফ্যাশন আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা শশিভূষণ থানা পুলিশকে এফআইআর হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন।
পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে ঘটনাটির সত্যতা না পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদী ফজিলাতুন্নেছার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা দায়ের করা হয়েছে মর্মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। এরপর আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিচারকের নির্দেশে বাদীকে গ্রেফতার করা হয়।
শশীভুষন থানার অফিসার ইনচার্জ ম এনামুল হক পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সুযোগ নেই, মিথ্যা মামলা দেওয়ার অপরাধে ফজিলাতুন্নেছা নামের নারীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এই ঘটনা দ্বারা মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর