
নাটোরের গুরুদাসপুরে সর্বহারা পরিচয়ে তিন ব্যক্তির বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে বাড়ির গেটের ভেতরে খাম ভর্তি চিঠি পান গুরুদাসপুর শহরের রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকার তিন বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুন্ডু ও ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। অপরজন মকিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার ওই চিঠি পাওয়ার পর থেকে পরিবারসহ বেশ আতঙ্কে।
“সর্বহারা” শিরোনামে চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আশাকরি মহান আল্লাহর দোয়ায় ভালোই আছেন। দোতলা বাড়ি, ছেলে, বউ সব মিলিয়ে ভালো। আমরা ভালো নাই। বছরের বেশির ভাগ সময় জেলে থাকি। আর যে বাকি সময় বাহিরে থাকি, সেটুকু সময় গরীব দুঃখীদের সাহায্য করি। আপনাকে পাঁচদিন সময় দেওয়া হলো। এই পাঁচ দিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে রাখবেন। তাছাড়া আপনার ছেলেকে জবাই করে মাথা পাঠিয়ে দিবো আপনার বাসায়। পুলিশ কিংবা আইনের যেকোনো বাহিনী এক বছরের মধ্যে আমাদের ধরতে পারবেনা। ততদিনে আপনার ছেলের গলা কাটা জবাই করা লাশ হার হয়ে যাবে। টাকা কোথায় কীভাবে দিবেন আমরা জানিয়ে দিবো। (সর্বহারা)।’
সহকারী অধ্যাপক উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় একটি খাম দেখতে পান। সেই খাম খুলে দেখেন সর্বহারা শিরোনামে একটি চিঠি তাকে ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে। পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছে তারা। না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলবে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এই প্রথম তার সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।’
ব্যবসায়ী সোহেল আনোয়ার জানান, ‘তিনি চিঠি পাওয়ার পরপরই থানা পুলিশকে অবগত করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন।’
প্রধান শিক্ষক বাবুল সরকার জানান, ‘চিঠি পাওয়ার পরে তিনি ও তার পরিবার বেশ আতঙ্কিত। তার কাছেও পাঁচদিনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার দাবি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘সর্বহারা কোথাও নেই। হয়ত কোন মাদকসেবীরা এই কাজ করেছে। দুইজন এ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা করছি অতি দ্রুত এদের চক্রকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর