
২০২৪ এর ২১-২৬শে আগস্টে ফেনীতে স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যার ফলে টানা ৩য় বারের ন্যায় পুরোপুরি ভেঙে যায় লেমুয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যমে কাঠের পোলের সেতু।যেটি চলাচলের উপযোগী হয় চলতি সপ্তাহ হতে।
ঠিকাদারের তথ্যমতে, সেতুর পাশে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পিএসসি গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। তার পাশে বিকল্পভাবে চলাচলের জন্য কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর, মধ্যচাঁদপুর, দক্ষিণ চাঁদপুর, নেয়ামতপুর, টংগীর পাড়, হাফেজিয়া ও তেরবাড়ীয়া গ্রামের প্রায় ১০ হাজারের অধিক মানুষের জেলা শহরে স্বাস্থ্য সেবা, আইনি সেবা, ভূমি সেবা, ইউনিয়ন পরিষদ সেবা, শিক্ষা সেবা নিতে আসা মানুষের একমাত্র মাধ্যম।
এছাড়া ওই এলাকার একমাত্র ভরসার কাঠের পুলটি লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ লেমুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেমুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, রেজিস্ট্রি অফিস, বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাসহ নিত্যদিনের চিকিৎসা ও হাটবাজারে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে এটিই একমাত্র মাধ্যম।ফলে সেতু ভাঙ্গনের সাথে সাথে মানুষের কপাল পোড়া পরিস্থিতি হয়।নদীতে ঠিকাদার নৌকা দিলেও খাড়া মাটিতে চলাচলে মানুষের উঠানামা ব্যাপক সমস্যা হয়।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার বাবুল চৌধুরি জানান, বন্যার কারণে লোকজন কাজ করতে পারে নাই।তাছাড়া এখানে যে বল্লা(খুঁটি) গুলো পাইলিং করতে হয়েছে তা তীব্র স্রোতের কারণে কাজ করতে পারে নাই। এজন্য কাজটি ধীরগতিতে হয়েছে এবং দেরিতে হয়েছে।
নৌকায় যাত্রী আসা যাওয়ায় গতবার তিনি নিজে দৈনিক ভাড়া দিতে পারলে এবার তা না দেওয়ার কারণ হিসেবে বাবুল চৌধুরি জানান"মসজিদে মাইকে আসা এবং যাওয়া ৫ টাকা হারে ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এলাকার মানুষের আন্তরিক ভাবে আমার ক্ষয় ক্ষতি হিসেব করে এবার ভাড়া দিতে না করছে।
তবে বাবুল চৌধুরি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরের জুন নাগাদ আমাকে সম্পূর্ণ কাজ বুঝিয়ে দেওয়া কথা। কিন্তু বন্যার কারণে ৩ বার কাজ বন্ধ ছিল।"
এ বিষয়ে লেমুয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহ আলম মিয়াজী জানান, আমার নিজ গ্রাম দক্ষিণ চাঁদপুর। এ সেতু দিয়ে আমি এবং আমার এলাকার সর্বসাধারণের চলাচল। দীর্ঘদিন সেতুটি না থাকায় সীমাহীন কষ্ট করেছে সাধারণ মানুষ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ অনেকে। তবে ঠিকাদার আন্তরিক ভাবে কাজ করেছেন এবং দ্রুত কাজ করার জন্য চেয়েছেন।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থী জান্নাত ইমতিয়াজ বলেন, অনেক মানুষ এ মাটি রাস্তা দিয়ে উঠা এবং নামায় পড়ে যেতে দেখেছি,নিয়মিত স্কুলে আসতে পারতাম না।কারণ বৃষ্টিতে চলাচলে সমস্যা হত।কাজের গতি কম ছিল।
স্থানীয় সাইফুল সজিব জানান, এ ব্রিজ ভাঙার পর হতে সমস্যা চলছে।যাহ এখনও চলমান।কবে কাজ শেষ হবে ইয়ত্তা নেই । কাজের গতিও মন্থর।সবে মাত্র পাইলিং চলছে।কষ্ট মনে হচ্ছে অনেকদিন করতে হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর