
১৯৯৬ সালে জয়নাল হাজারি ফেনীর এমপি নির্বাচিত হওয়া পর লেমুয়া হতে মমতাজ মিয়া সড়কের কিছু অংশের কাজ হয়।এরপর ২০০৭-০৮ অর্থবছরে মহাজোট সরকারের সময় লেমুয়া-মমতাজ মিয়া সড়কের বাকি অংশের কাজ বর্ধিত করা হয়। তখন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন ফেরদৌস আহম্মেদ কৌরাইশী।এই দুই মেয়াদে সড়কটি সংস্কারের পর আর এ রাস্তার পূর্ণাঙ্গ কাজ হয় নি।দীর্ঘদিন খানাখন্দ সহ বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত ছিল এ সড়ক। এ রাস্তার প্রতিটি বিটুমিন পাউডার হয়ে গিয়েছিল। এরপর শর্শদীর চেয়ারম্যান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভুঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক জানে আলম ভূঁইয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে কাজটি সংস্করণের টেন্ডার পায়।এ টেন্ডারে রাস্তাটির বিভিন্ন খানাখন্দ ভরাট এবং সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দের শুধু মাত্র রাস্তাটি সংস্করণের জন্য ৮৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা যায়।
তবে এলজিইডির অফিস সহকারী রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজটি অনেক পুরোনো অর্থ বছরের।আমি ২/৩ জন রেকর্ড রুমের লোককে বলিয়েছি।তারা নথিটি পেলে জানাবে বলেছে। তবে প্রাক্কলিত বরাদ্দে রাস্তাটি সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ভাঙা ও খান্দাখন্দের স্থান সমূহতে ভালোভাবে ঢালাইয়ের কথা উল্লেখ থাকে। এছাড়াও এখানে রাস্তাটি মাটি হতে ৩ ইঞ্চি ঢালাইয়ের কথা উল্লেখ থাকলেও ঢালাই করা হয় দেড় ইঞ্চিরও কম।ফলে রাস্তাটি ভালোভাবে সংস্করণ করা হয় নি।এতে বছর দুই বছর যেতে না যেতেই আবারও পূর্বের অবস্থায় চলে আসে।
এছাড়াও এ রাস্তায় প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা স্টার পয়েন্ট ব্রিজের জন্য রেখে দেওয়া হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ "রাস্তা হয়ে গেছে আজ প্রায় ২-৩ বছর।এখন পর্যন্ত ব্রিজের কাজ করল না।তাহলে এ অংশটুকু খালি রাখার প্রয়োজন ছিল না।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির দাবিতে"আ'লীগ সরকারের সময় বেপরোয়া মাটি সিন্ডিকেটের এই রুটে ১০-১৫ টি গাড়ি চলাচল করতো গভীর রাত পর্যন্ত।এতে সড়কের বিভিন্ন অংশে দুমড়ে মুচড়ে ক্ষত হয়ে যায়। শীতের শেষে বর্ষা নামলেই বৃষ্টির পানিতে রাস্তার বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরে।এরপর গাড়ি সড়কে নামলেই তা ভেঙ্গে যায়।
সাজ্জাদ সুলতান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান" এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষের আসা যাওয়া করা হয়।শতাধিক বড় ছোট মাঝারি গাড়ি এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।সোনাগাজি দিয়ে ধলিয়া হয়ে এ রাস্তা দিয়ে ফেনী চলাচল সহজ।লেমুয়া ইউনিয়নের উত্তর নেয়ামত পুর, দক্ষিণ চাঁদপুরের মানুষের চলাচলের প্রধানতম সড়ক এটি।এছাড়াও নবাবপুর ইউনিয়নের সমগ্র মজুপুর, ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুরের কিছু অংশের মানুষের সহজে ফেনী চলাচলের রাস্তা এটি।
এ বিষয়ে লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহম্মেদ কৌরাইশী মুঠোফোনে জানান" কাজটি আমার সময়ে সম্পূর্ণ ভাবে করা হয়েছিল।এরপর এ রাস্তা আর কেউ সম্পূর্ণ ভাবে করেনি।এবার দীর্ঘদিন দিন পর কিছু সংস্করণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী দীপ্ত দাশ গুপ্ত জানান"সড়কটি আমার সময়ে হয় নি।তবে লেমুয়া-মমতাজ মিয়া সড়কের সংস্করণের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।এছাড়া এটি দুপাশে বর্ধিত কারণে চেষ্টা চলছে।"
এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি দুই পাশে বর্ধিত করন করে দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন হোক।পাশাপাশি শীতকালীন মাটির গাড়ি চলাচল বন্ধ হোক।
এ বিশেষে ফেনী এলজিইডির প্রধান প্রকৌশল মাহমুদ আল ফারুক জানান" রাস্তাটি আমি আসার পূর্বের। তবে বিষয় টি আমি দেখব"
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর