
লেমুয়া হতে ফেনী যান চলাচলের আনন্দ সুপারের পর একমাত্র ভরসা সাদা রং করা ইমা সমূহ। প্রতি সিটে ৫ জন করে বসার ব্যবস্থা থাকলেও তারা সিটে বসান ৬ জন। তাছাড়া সামনেও নেন গাদাগাদি করে ২ জন। একজন বসেন ড্রাইভারের স্ট্রাডিং এর গদিতে।এতে গাড়ির ব্রেক বা গতি আঁকাবাঁকা করার সময় যাত্রীটির অসুবিধা হয়।পিছনে ৬ জন বসার পর গাদাগাদি রুদ্ধদ্বার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নারী পুরুষে নেই বালাই।মালপত্র নিয়ে আসার বা নেওয়া ও তেমন সুযোগ নেই।
এ যেন এক রীতিমতো শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ। টাকা দিয়ে যাত্রীরা বড়ই অসহায়। একই রুটে এক সময় বিভিন্ন স্ট্যান্ড এর বিভিন্ন রুটের গাড়ি চললেও বর্তমানে কেবল এক প্রকারের গাড়ি চলে। এতে হাজার হাজার যাত্রীর জন্য মাত্র কয়েকটি বাস ও কয়েকটি ইমা মোটেই ঠিক নয়। এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়েছে এই রুটের চালকেরা।
২০১৫ সালে থ্রি হুইলার সিস্টেম চালু পর থেকে মহাসড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এরপর হতে মহাসড়কে কেবল বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় বাসের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় মাজারি আকার'র ইমা চলাচল করতো। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ইমাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ২০১৬ সালের দিকে সাদা কালারের কিছু আপেক্ষিক মাঝারি সাইজের ইমার চলাচল শুরু হয়। এগুলো কেবল কসকা থেকে লেমুয়া হয়ে ফেনী পর্যন্ত যাতায়াত করে।
এছাড়াও বারইয়ারহাট, মিরসরাই, ফাজিলপুরসহ বিভিন্ন রুট ভিত্তিক এই ইমামসহ চলাচল প্রত্যক্ষ করা যায়। এ ইমার আকার ছোট হওয়ার কারণে এখানে বেশি সংখ্যক যাত্রী বসার সুযোগ নেই। ৫ জনের সিটে পাঁচজন বসলে তাহলে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারে। এখানে এসেই সিন্ডিকেট করে ফেলে গাড়ির চালকেরা। কারণ এ রুটে অধিক গণপরিবহন এবং বিভিন্ন ধরনের যানবাহন না থাকার কারণে এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নেয়। তারা পিছনে ৫ জনের সিটে গাদাগাদি করে ৬ জন বসে। আবার সামনে একজনের জন্য সিট থাকলেও গিয়ারের সিটে আরেকজনকে বসিয়ে দেয়।
এভাবে চলছে এসব গাড়িতে যান চলাচল, আবার ড্রাইভাররা নিয়মিত গাড়ি চালাতে চালাতে যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এমন অভিযোগ এখন সহসাই পাওয়া যায়। আবার গাড়ি চালাতে চালাতে চালকরা সিগারেট খায়, যাহ অনেক যাত্রীর কষ্টের কারণ হয়। গাদাগাদি করে বসানো এবং যাত্রীদেরকে দুরব্যবহারের বিষয়ে ইমা চালকদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান "গত সরকারের আমলে স্ট্যান্ড থেকে কতিপয় কয়েকজন নেতা মাসোহারা নিত। ৫ তারিখের পর তা বন্ধ হলেও তাদের নির্দিষ্ট লাইনম্যান নেই নির্দিষ্ট নেতা নেই এসবের দোহাই দিয়ে চলছে তবে এটি সঠিক প্রতিকারের প্রয়োজন।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসা) সভাপতি শরিফুল ইসলাম এবং নির্বাহী পরিচালক নূর নবী জানান, পুজোর আগে আমরা গাড়ি চালকদের সাথে কথা বলেছি। তাদেরকে আমরা ৫ জনের সিটে পাঁচজনই বসানোর জন্য বলেছি এবং এখানে ভাড়ার বিষয়েও অনেক ধরনের অভিযোগ আছে। যেমন লেমুয়া থেকে লালপুল পর্যন্ত ভাড়া নেওয়া হয় ১৫ টাকা। কিন্তু এখানে ১০ টাকা দিলেও খুব কম হয় না কারণ ৫/৬ কিঃমিঃ পথের ভাড়া ৫ টাকাও ছিল একসময়।
আবার লেমুয়া টু ফেনি ২০ টাকা ভাড়া। চলমান ডিজেলের দামের কারণে তারা এ হারে ভাড়া বাড়িয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে তাদেরকে এখানে ভাড়া কমানো দরকার এবং আর যেন ৫জনের সিটে পাঁচজনই বসানো দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূত্রে জানা যায়, যেকোনো গাড়ির অবৈধ স্ট্যান্ড কিংবা বাড়া কমানোর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তারা তা সুরাহা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর