
ঘুমন্ত ছেলেকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার পর থানায় এসে বাবা বললেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করুন’। পরে পুলিশ তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। আজ বুধবার ভোরের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম আনোয়ার হোসেন (২৫)। ছেলেকে হত্যার ঘটনায় আটক হয়েছেন মোহাম্মদ আলী।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি গরু পালন করি। ১১টা গরু আমার ছেলে আনোয়ার মেরে আহত করেছে। এ ঘটনায় আমি তাকে গালাগাল করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে আমাকেও পেটায়। এর পরই আমি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করি। মঙ্গলবার রাতে আনোয়ার ঘুমিয়ে ছিল। যখন রাত ৩টা তখন ধারালো বঁটি হাতে তার কক্ষে যাই এবং কোপানো শুরু করি। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলা কেটে ফেলি। ভোরের দিকে থানায় হাজির হয়ে ছেলেকে হত্যার করেছি বলে পুলিশকে জানাই। এবং আমাকে আটক করার জন্য অনুরোধ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আনোয়ার মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল। মাদক নিরাময় কেন্দ্রেও দিয়েছিলাম। কিন্তু ভালো হয়নি। মাদকের টাকার জন্য যা খুশি তাই করত সে। আমার ৭টা গরু চুরি করে বিক্রি করে ফেলেছে। পুকুরের মাছ, গাছও বিক্রি করেছে সে। আমাকে সে নিঃস্ব করে ফেলেছে। বাঁধা দিতে গেলে আমাকে খুন করতে আসে। সব চিন্তা করে ওকে হত্যার করার সিদ্ধান্ত নেই। এ রকম কোনো সন্তান যেন কারো না হয়।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘ছেলেকে হত্যার পর বুধবার ভোরে থানায় এসে বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী নিজেকে গ্রেপ্তার করার জন্য অনুরোধ করেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর