
বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী বেবী নাজনীন বলেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া দেশ সংস্কারের ৩১ দফা থেকে কিছু নেয়ার থাকলে নেন, সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচন দিন।
কারণ নির্বাচন ছাড়া একটি দায়বদ্ধ সরকার হয় না, থাকে না সরকারের জবাবদিহিতা। ফলে যে সরকারের দায়িত্ব থাকে সে সরকারই আমরা আনতে পারি নির্বাচনের মাধ্যমে। বিএনপি চাচ্ছে, তারেক রহমান চাচ্ছে, আমরা চাচ্ছি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।
সাধারণ মানুষ, জনগণ, ভোটারদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে। কারণ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ১৭ বছরে কেউ ভোট দিতে পারেনি। আমরা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ভাল করতে চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস) উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ মা। তিনি গণতন্ত্রের মা। তিনি যে কষ্ট করেছেন। কালো ঘরে থেকে কালো ইতিহাসের যন্ত্রণা নিয়ে দিনের পর দিন জেলখানায় কাটিয়েছেন। আমরা কি সে কষ্টের কথা ভুলতে পারি। মা তার মায়ের পরিচয় দিয়েছেন। নির্দ্বিধায় জেল, জুলুম, যন্ত্রণা মেনে নিয়েছেন তবুও তিনি বলেছেন দেশ ছেড়ে কোথাও যাব না, এটা আমার দেশ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার জীবন যন্ত্রণায় জ্বালিয়ে দিয়ে একটি অন্ধকার দেশ রেখে পালিয়েছেন। আমাদের তছনছ করা দেশটা এখন একটু একটু করে আমাদের গোছাতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভাঙ্গার এমন কোন ষড়যন্ত্র নেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার করেননি। কিন্তু পারেননি।
বেবী নাজনীন আরও বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছিলেন ফায়সালা হবে রাজপথে, ফায়সালা কিন্তু রাজপথেই হয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের ছাত্র-জনতার ঘণঅভ্যূথ্থানে নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, সম্মান করতে হবে। এ স্বাধীনতাকে লালন করে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠন করতে হবে। তার জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তার জন্য ৩১ দফা সংস্কার দেয়া হয়েছে। এখানেই দেশ গঠনে সংস্কার রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসায় যাওয়ার আগে বলেছেন, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো, যত ষড়যন্ত্রই হোক।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজিত মে দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ ট্রাক ও ট্রাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও সঞ্চালনা করেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাবেক আহ্বায়ক আহসান হাবীব ময়না।
এতে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাংসদ শওকত চৌধুরী, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ লিটন পারভেজ, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী প্রমুখ। পরে বিকালে মে দিবস উপলক্ষ্যে বেবী নাজনীনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে মে দিবস উপলক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের একটি র্যালি হয়। এতে নেতৃত্ব দেয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম তাজুল ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইবনে সাঈদ সুজন, যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, নির্মাণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক তহুবার রহমান তহু। এছাড়া শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুন্তাকিম, কিশোরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুর রশিদ শাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, সহকারী সেক্রেটারি শিব্বির আহমেদ, রবিউল ইসলাম প্রমুখ। হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়নের র্যালিতে নেতৃতৃ দেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওর্য়ী গ্রেনেট বাবু, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
এদিকে, উপজেলা পরিবহন শ্রমিক সমবায় সমিতি, কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন, অটো ও সিএনজি শ্রমিক সমিতি বর্ণাঢ্য র্যালি করে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর