
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবায় দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তি কমাতে মাঠ প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে দ্রুত ও সহজ সেবা নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি। সংশোধন, আবেদন নিষ্পত্তি এবং যাচাই-বাছাই সব ক্ষেত্রেই বিকেন্দ্রীকরণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (৫ মে) জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যায়ে এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল সেটা জেলা অফিসারকেও দায়িত্ব দিচ্ছি। আমরা মানুষের সেবা নিশ্চিত করা জন্য যৌক্তিক আবেদন যেগুলো, কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় আমরা সবাই মিলে মানুষকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। দ্বিতীয়ত হচ্ছে আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারিন সেজন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ইসি সচিবালয়ের অফিসারদের মাঝেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যাতে সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনটি রিং করছি। অনেকেই হয়ত ক্যাটাগরি ঠিক মতো করছে কেউ করছে না।
দ্বৈত ভোটারের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাবল এনআইডি আছে এমন নাগরিকের সংখ্যা ৫০০ প্লাস। আগামী সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পারবেন। প্রায় ১৩ কোটি প্লাস তথ্য একটা একটা করে খোজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তাহলে ব্যবস্থা নিই।
জাতিসংঘ রোহিঙ্গা ডাটাবেইজের সম্পর্কে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয় হচ্ছে ডাটাবেজটা প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল ইসিকে এপিআই এর মাধ্যমে দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। যেখান থেকেই হোক তথ্যটা যেন পাই, আমরা তথ্যটা পেলেই খুশি। রোহিঙ্গা আর বিদেশিদের আমরা আমাদের যাটাবেজে প্রবেশ করতে দেবো না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন মন্ত্রণালয়ে যাবে রোহিঙ্গা সার্ভার, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাইনি। আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এই সপ্তাহের মধ্যে আমরা পেয়ে যেতাম। এখন সরকারের যদি বিকল্প সিদ্ধান্ত হয়, এখন যেখানে থাকুক আমরা যদি রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করতে পারি তাহলেই হবে।
ডিজি এনআইডি বলেন, ভোটার করার বিষয়ে আমরা জাস্ট কয়েকদিন আগেই আমরা নিবন্ধনের কাজ শেষ করলাম। ওই ৫৬টা বিশেষ উপজেলায় এবং যে কোনো জায়গায় আমাদের যে টেকনিক আছে সেগুলো অব্যাহত থাকবে। কাজেই তাদের ভোটার তালিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না। ভোটার হতে যিনি আসলে আমরা যত রকম ভাবে সম্ভব চেক করে নেবো। আগের মতো আর সহজ নেই যদি না আমি মোটিবেটেড না হই।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর