
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল এলাকায় ‘আল্লাওয়ালা’ নামের একটি হ্যাচারিতে আলী আকবর (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনতা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কক্সবাজার জেলা সংগঠক রাইয়ান কাশেমের ওপর হামলা চালায়।
নিহত আলী আকবর খুরুশকুলের কুলিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হ্যাচারিতে মাছ চুরির অভিযোগে আলী আকবরকে ধরে মারধর করা হয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মারা যান। রাত ১টার দিকে মরদেহ উদ্ধারের সময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন বিক্ষুব্ধ জনতা হ্যাচারির মালিকের ছেলে রাইয়ান কাশেমের ওপর চড়াও হয়। আত্মরক্ষায় তিনি হ্যাচারির একটি পুকুরে ঝাঁপ দিলে স্থানীয়রা সেখানেও গিয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত রাইয়ান কাশেম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং এনসিপির কক্সবাজার জেলার সংগঠক। তিনি সাবেক ছাত্রশিবির নেতা ও এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেমের ছেলে।
হামলার আগে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে রাইয়ান দাবি করেন, “আলী আকবর হ্যাচারিতে চুরির সময় ধরা পড়েন। তখন নিরাপত্তা প্রহরীরা তাকে আটক করতে গেলে তিনি আক্রমণ করেন। আত্মরক্ষার্থে প্রহরীরা পাল্টা প্রতিরোধ করলে আলী আকবর গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান।”
অন্যদিকে, নিহত আলী আকবরের পরিবারের অভিযোগ, মাছ চুরির অপবাদে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, “হ্যাচারিতে সংঘটিত ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হোসাইন ও মিজান নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রাইয়ান কাশেমকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করেনি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর