
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের অন্তত ২৩ জন মানুষ পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আক্রান্তদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধও রয়েছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, প্রথমে কুকুরটি গনিপুর গ্রামে পাঁচজনকে কামড়ায়। এরপর মাহমুদপুর, ভারারীয়া ও হাউলভাঙ্গা গ্রামে আরও ছয়জন আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। পরে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় কুকুরটি চাতুটিয়া ও হরিদেববাড়ী গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং আরও ১২ জনকে কামড়ায়।
চাতুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও চাল বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, “আমার বাড়িতে ঢুকে পাগলা কুকুরটি আমার স্ত্রী নাজমা বেগমকে কামড়ে আহত করে।”
আহতদের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সেখানে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন মজুদ নেই। রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে নিতে বলা হয়েছে, যার দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা প্রতি ডোজ, এবং পাঁচ ডোজ দিতে খরচ পড়ে ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
গনিপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক রমজান আলী জানান, “আমাদের এলাকার বেশিরভাগ লোক গরিব। ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনেকে ঝাড়ফুঁক আর করিরাজের ওষুধের উপর নির্ভর করছে।”
গোপালপুর উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি লুৎফুল কবীর বলেন, “ফার্মেসিতে জলাতঙ্কের দুটি ধরনের ওষুধ থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় গরিব রোগীরা তা নিতে পারছেন না।”
এ প্রসঙ্গে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খায়রুল ইসলাম বলেন, “সারা দেশে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। আমাদের উপজেলায় সরকারিভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয় না। রোগীদের টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, “চাহিদার তুলনায় আমরা কম পরিমাণে ভ্যাকসিন পাই। তাই সংকট লেগেই থাকে। গোপালপুর থেকে রোগী রেফার করা হলে আমরা তাদের ভ্যাকসিন দেব।”
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর