
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অনুমোদনহীনভাবে ডিটারজেন্ট ও বিভিন্ন হাউজহোল্ড পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে এক কেমিক্যাল কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় অবস্থিত ‘শেখ কেমিক্যাল কোম্পানি’-তে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।
অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন সেনাবাহিনী, বিএসটিআই রাজশাহী অফিস এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এ ন এ স আ ই) নাটোর জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা।
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনহীন ও নকল প্যাকেটে সিনথেটিক ডিটারজেন্ট, ডিশ ওয়াশ, টয়লেট সোপ এবং টয়লেট ক্লিনার উৎপাদন ও বিতরণ করছিল। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বৈধ লাইসেন্স, মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহৃত হচ্ছিল।
বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর ৩১ ধারা অনুযায়ী কারখানার মালিক খলিলুর রহমান শেখ (পিতা: সুরুজ আলী শেখ) কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। এছাড়া কারখানা থেকে ৪ কার্টুন পণ্য জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে খলিলুর রহমান জানান, তিনি নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন এবং একসময় রিকশা চালাতেন। ফেসবুকে ডিটারজেন্ট তৈরির ভিডিও দেখে উৎসাহিত হয়ে নিজেই কারখানা গড়ে তোলেন। মায়ের দোয়া নামক একটি নিজস্ব ব্র্যান্ডে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে তিনি পণ্য বিক্রি করতেন। “আমি নিজেই ক্যামিস্ট”— এমন দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মানহীন পণ্য তৈরি করে তা বাজারজাত করছিলেন। তারা বলেন, “নবম শ্রেণী পড়ুয়া একজন যদি নিজেকে ক্যামিস্ট দাবি করেন, তাহলে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।”
বিএসটিআই রাজশাহী অফিসের ফিল্ড অফিসার (সিএম) দেলোয়ার হোসেন জানান, “অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অসাধু ও অনুমোদনহীন উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রমাণিত হওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, “এ নএ স আ ই-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর