
পহেলগামে ভারতীয় নিরীহ নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী চালিয়েছে শক্তিশালী আক্রমণ—‘অপারেশন সিঁদুর’। আজ ভোররাতে পরিচালিত এই গোপন অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভেতরে থাকা নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে নিশানা করে বিমান হামলা চালানো হয়।
রাফাল ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে এই হামলায় অত্যাধুনিক ‘স্ক্যাল্প’ ও ‘হ্যামার’ মিসাইল ছোড়া হয়। সূত্র বলছে, লক্ষ্যবস্তুগুলো ছিল সুনির্দিষ্ট এবং এই অভিযানের প্রস্তুতি দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল।
‘স্ক্যাল্প’ মিসাইল:
দূরপাল্লার এই ক্রুজ মিসাইলটি ফ্রান্স থেকে আমদানি করা হয়। ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের টার্গেটেও নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এই অস্ত্রটি।
‘হ্যামার’ মিসাইল:
‘হাইলি আগাইল মডুলার মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ’—সংক্ষেপে ‘হ্যামার’, স্মার্ট এই বোমা মূলত বাংকার বা শক্তপোক্ত ঘাঁটি ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়। একেকটি বোমার ওজন প্রায় ২৫০ কেজি।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, এই হামলায় মূলত জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মতো গোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ শিবির, অস্ত্র ভান্ডার এবং গোপন আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে।
সরকারি প্রতিক্রিয়া:
এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে যেকোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা এখন কঠিন জবাব পাবে। অপারেশন সিঁদুর তারই প্রমাণ।”
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তান এই হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবে ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক’ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ ছিল।
বিশ্বের নজর:
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সুত্র: ndtv
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর