
গুচ্ছ পদ্ধতিতে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য তথ্য সহায়তা ও সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এ কেন্দ্র থেকে তারা শিক্ষার্থীদেরকে কলম, পানির বোতল, রজনীগন্ধা ফুল, টিস্যু ও ছাত্রদলের নাম ও লোগো সম্বলিত ফাইল সরবরাহ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নাম ও লোগো দেওয়া ফাইল দেওয়া দেখে তাতে বাধা দেন কিছু শিক্ষার্থী।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে কোন দলীয় রাজনৈতিক নাম ব্যবহার করে কিছু বিতরণ করা যাবে না জানিয়ে ফাইল গুলো নিজেদের জিম্মায় নেন এবং তাদেরকে নাম ছাড়া সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেন। পরে স্টলে বাধা দেওয়া সাইফ রাকিব নিষিদ্ধ ঘোষিত যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের কর্মী বলে দাবি করেন ছাত্রদল কর্মীরা।
শুক্রবার (৯ মে) যবিপ্রবি কেন্দ্রে গুচ্ছ 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ স্টল দেন যবিপ্রবি ছাত্রদল। যদিও যবিপ্রবি'তে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রদলের কোন কমিটি নাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্ড অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়ার মধ্যে সকল ধরনের দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ।
ছাত্রদলের হেল্প ডেস্কের বিষয়ে জানতে চাইলে স্টলের ফরিদ হাসান নামক একজন ছাত্রদল কর্মী সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই আমরা প্রধান ফটকের বাইরে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য হেল্প ডেস্কের স্টল দিয়েছি। এখানে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কলম, ফাইল, পানির বোতল, কলম, রজনীগন্ধা ফুল ও টিস্যু সরবরাহ করি। কিন্তু কতিপয় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের সেবামূলক কাজে বাধা দেয়। আমরা তার বহিষ্কার দাবি করছি।
তবে যবিপ্রবিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক সংগঠনের হেল্প ডেস্কের বিষয়ে ছাত্রদল কর্মীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নিয়মের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আমরা তথ্য সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করি। যা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ছাত্রদলের হেল্প ডেস্কে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফ রাকিব নামক একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটি রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু ব্যক্তি ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা কোনো সময় মেনে নেব না। তার অংশ হিসেবে আমরা ছাত্রদলের নাম ব্যবহার করে ফাইল বিতরণের বিষয়ে জানতে চাই। পরে প্রক্টরিয়াল বডি এসে ফাইল গুলো নিয়ে যায়। আমরা আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি প্রক্টর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ক্যাম্পাসে সকল ধরনের দলীয় লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি নিষিদ্ধ। তারা ক্যাম্পাসের বাইরে যা কিছু করতে পারে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করা যাবে না।
যেহেতু তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম খচিত ফাইল ব্যবহার করছিলো তাই আমরা সেগুলো নিজেদের জিম্মায় নেই এবং নাম ছাড়া সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর