
ভোলার চরফ্যাশনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষনা দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন তলা ভবন দখল নিয়ে নিজেদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখল করে এনসিপির কার্যালয় করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। এতে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্ধদের মধ্যে।
শনিবার (১০ মে) দুপরে অদৃশ্য শক্তির বলয়ে থেকে চরফ্যাশন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় দখল করা হয়।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের তোপে চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এবং লুটে নেয়া হয় প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র। এর পর থেকে পরিত্যক্ত পরেছিলো আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়টি। পরে সরকার পতনের ৯ মাস পর শনিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিনিধি দাবী করা অহিদ ফয়সাল নামের এক নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয়টি জবর দখল করে নিজেদের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড সাটিয়ে কার্যক্রম শুরু করলে গোটা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন অনেকেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দৃষ্টিনন্দন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে আওয়ামী লীগের তিন তলা ভবন দখল নিয়ে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবীর কর্মসুচির প্রস্তুতি মূলক সভা করছেন এনসিপির নেতারা। এছাড়াএ ভবনের ছাদে মাইক টাঙ্গিয়ে চালানো হচ্ছে এনসিপির প্রচার প্রচারনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার দল। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এই প্রথম কোন দলের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ অফিস দখল করে এনসিপি নেতারা নিজেদের দলীয় কার্যক্রম করছেন। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে নাজির বিহীন ও নেক্কারজনক ঘটনা।
এনসিপির চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিনিধি দাবীদার অহিদ ফয়সাল জানান, এনসিপির দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চরফ্যাশন উপজেলার এনসিপির নেতা আমজাত হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরিফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে তারা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় দখল নিয়েছেন। এখন থেকে চরফ্যাশনে এনসিপির দলীয় সকল কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালিত হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর