
কানাডার জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শমিত শোম আগামী ৩ জুন বাংলাদেশে আসছেন। তাকে স্বাগত জানাতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার দক্ষিণ উত্তর সুর গ্রামে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পাড়ায় পাড়ায় চলছে বরণ প্রস্তুতি। আবালবৃদ্ধবনিতা সবার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে আনন্দের উচ্ছ্বাস।
শমিত শোমের গ্রামের বাড়ি শ্রীমঙ্গলের সোমবাড়িতে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। স্থানীয় তরুণরা প্রতিদিন দল বেঁধে এসে খোঁজ নিচ্ছেন—কোন দিন আসবেন তাদের গর্বের মানুষ শমিত শোম। এলাকাজুড়ে বইছে এক আনন্দধারা।
শমিতের কাকা মুক্তিযোদ্ধা মোহন লাল শোম জানান, “আমার ভাতিজা বিদেশে বসবাস করলেও দেশের প্রতি তার টান অনেক গভীর। সে একাই বাংলাদেশে আসছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি, আর আমার ভাতিজা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের শিকড়কে স্মরণ রেখে কানাডার জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করছে—এ গর্ব ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক সংবাদমাধ্যম শমিতের নাম ভুলভাবে ‘সামিত সোম’ লিখছে, যা সঠিক নয়। তার সঠিক নাম ‘শমিত শোম’। সে এবারও কানাডার লিগে খেলার ব্যস্ততার মধ্যে ৪-৫ দিনের জন্য বাংলাদেশে আসছে, তবে অক্টোবর-নভেম্বরে আবারও longer ছুটিতে আসার পরিকল্পনা করছে।”
শমিতের পিসি পদ্মা শোম বলেন, “আমার ভাতিজা খুব সাধারণ জীবনযাপন করে। মাছ-ভাত খেয়ে থাকে, কথাবার্তাও একেবারে বাঙালি ঢঙে। এবার ও ঢাকায় খেলতে এলে আমরাও পরিবারের সবাই মিলে ওর খেলা দেখতে যাবো।”
শমিত শোমের জেঠি শুক্লা শোম বলেন, “ওর সবচেয়ে প্রিয় খাবার দেশি মুরগি, ডালভাত আর দেশি পিঠা। ও এলে আমরা সবসময় ওর পছন্দমতো খাবার তৈরি করি। এখন প্রতিদিন কোনো না কোনো টিভি চ্যানেল আমাদের বাড়িতে আসছে, বিষয়টা আমাদের খুব ভালো লাগছে।”
চাচাতো ভাই সৌরভ প্রসাদ শোম বলেন, “ভাইয়াকে বরণে পুরো এলাকায় উৎসবের পরিবেশ। আমরা প্রতিদিনই তাকে জানাই যে বাংলাদেশের মানুষ তাকে কতটা ভালোবাসে।”
হবিগঞ্জের বাহুবলের সন্তান আরেক আন্তর্জাতিক তারকা ফুটবলার হামজার চৌধুরীর বাড়ি থেকেও শ্রীমঙ্গল মাত্র ৪০ মিনিটের পথ। এই দুই প্রবাসী ফুটবলারের মাঝে রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক এবং একই সাংস্কৃতিক শিকড়ের টান।
শমিত শোম ২০২২ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং সে সময় ১৫ দিন অবস্থান করেছিলেন। তবে এবার সময় স্বল্পতার কারণে বেশি দিন থাকার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর