
বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার বলেছেন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, নির্যাতনের শিকার নারী-শিশু ও সুশীল সমাজ সবাই মিলে নারী নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। নির্যাতিত নারীদের পাশে পুলিশ সবসময় আছে। ভুক্তভোগীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। তাদের কাউন্সেলিং করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেক নির্যাতিত নারী ও শিশু ঘটনার পর মামলা করতে চায় না। তাদের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেটের প্রভাবে আমাদের সন্তানরা ভুল পথে পরিচালিত হয়। তারা ভুল করছে কি না, মা-বাবার তা দেখতে হবে। ১৬ বছরের নিচে সবাই শিশু। তাদের ভুল শুধরে দিয়ে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে। শিশুরা ঝরে গেলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফেসবুক-ইউটিউব কেন্দ্রিক আমাদের সন্তানরা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা যেন মাদকের সঙ্গে আসক্ত না হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল পোস্টের কারণে সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ে। এছাড়া সম্প্রতি লামা পর্যটন নগরী হিসেবে সারাদেশে পরিচিতি পেয়েছে। পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে হবে। উদ্যোক্তারা লামাকে তুলে ধরছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সচেতন থাকতে হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বান্দরবান জেলা পুলিশের উদ্যোগে লামা থানায় আয়োজিত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ভুক্তভোগীদের আইনগত ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বান্দরবান পুলিশ সুপার।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, পিপিএম (বার)। আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিনিয়া চাকমা, লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম, লামা থানা ওসি তোফাজ্জল হোসেন, আলীকদম থানা ওসি মির্জা জহির সহ প্রমুখ। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, নারী নেত্রী, বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী, পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আগত ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে বান্দরবান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ টাকা ও উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর