
নাটোর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গুরুদাসপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের চাঁচকৈড় শিক্ষা সংঘ চত্বরে উপজেলা ও পৌর বিএনপিকে সংগঠিত করতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভায় সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল আজিজ কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে সমালোচনা করেন। এতে প্রতিবাদ জানান পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল করিম নজু। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। নজু, জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।
রাত তিনটার দিকে দুই পক্ষের নেতা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান বাবলু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকারকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত তাদের থানা হেফাজতে রাখা হয় এবং পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুফি আবু সাঈদ ও দলীয় কর্মী আফতাব হোসেন। তারা আব্দুল আজিজ ও বাবলুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে দুলাল সরকার ব্যারিস্টার রঞ্জুর অনুসারী। দুজনই আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী। প্রার্থীতা ঘোষণার পর থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ ও সদস্য ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল রঞ্জু বলেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ দল, এখানে মতানৈক্য থাকতে পারে। তৃতীয় কোনো পক্ষ যেন সুযোগ না নেয়, সেজন্য দ্রুত সমঝোতার চেষ্টা চলছে।”
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, “কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় মুচলেকা নিয়ে দুই নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকা থেকে শর্টগানের দুই রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর