
জুলাইয়ে ছাত্র জনতার ওপর গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে চিরতরে নিষিদ্ধ করা, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা।
রোববার (১১ মে) সকাল থেকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান নেন।
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করাসহ ৩ দাবিতে বিক্ষোভ করছেন আহতরা। নিজেদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং পুনর্বাসনের দাবিও জানাচ্ছেন তারা। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই আহতরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, দালালি এবার বন্ধ করতে হবে, দালালির দিন শেষ। বিচারকার্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, তার পরে তারা কি আমাদের সঙ্গে ডাঙ্গুলি খেলবে? বাংলাদেশ থেকে দুই শব্দ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে। ‘আওয়ামী লীগ’ তারপর ‘নিষিদ্ধ’, এর আগে বা পরে কোনো যদি-কিন্তু থাকবে না।
তারা আরও বলেন, আমাদের ২ হাজার ভাই শহীদ এবং ৩৫ হাজার আহত ভাই আজ নানাভাবে অবহেলিত ও নির্যাতিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করে সুশীলতা দেখায়। এখনও আওয়ামী লীগকে পূর্ণাঙ্গভাবে নিষিদ্ধ করতে পারে নাই এই সরকার। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সদিচ্ছা থাকলে গত আগস্টেই নিষিদ্ধ হয়ে যেত। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রও জারি হয়ে যেত।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ২০ জন জুলাই আহত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের ব্লকেড কর্মসূচি ঘিরে শাহবাগ মোড় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ মোড় অবরোধ থাকায় এর আশেপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। তখন থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান ও সমাবেশ করেন তারা। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর