
পিরোজপুরের এক সময়ের রিকশাচালক বাবু শেখ, যিনি এলাকায় ‘মদ বাবু’ নামে পরিচিত, বর্তমানে কোটি টাকার মালিক। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় তার এই উত্থান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বাংলা ভিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদন অবলম্বনে উঠে এসেছে—আওয়ামী লীগের বিগত ১৭ বছরের শাসনামলে যুবলীগের স্থানীয় নেতা হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে তিনি জড়িয়ে পড়েন মাদক ও চোরাচালান ব্যবসায়।
এক সময় বাবা-মাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করতেন মদ বাবু। দিনমজুরি ও রিকশা চালানোর পাশাপাশি চালাতেন একটি ছোট চায়ের দোকান। পরবর্তীতে স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করে তার জীবনে আসে নাটকীয় পরিবর্তন। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নাম ব্যবহার করে এলাকায় গড়ে তোলেন একটি সন্ত্রাসী বাহিনী, যার মাধ্যমে পরিচালনা করেন মাদক ব্যবসা ও জমি দখলের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়দের দাবি, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রাণ হারাতে হয়েছে বিএনপিকর্মী লালন ফকিরকে।
বাংলাভিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাবু শেখ মাদক ও চোরাচালান থেকে অর্জিত অর্থ বৈধ করতে ঢাকাসহ পিরোজপুরে শত একরের বেশি জমি কেনেন। খালের জায়গা দখল করে তৈরি করেন বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি। গড়ে তুলেছেন গরু, মুরগি ও মাছের খামার।
তার এই বিপুল সম্পদের উৎস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থাকলেও, মদ বাবুর মা ও ভাইদের দাবি—তারা কৃষিকাজ ও বৈধ ব্যবসার মাধ্যমেই এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকায় একটি হত্যা মামলায় কারাবন্দি থাকলেও অভিযোগ রয়েছে, কারাগার থেকেই তিনি তার অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ করছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, মদ বাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত করে তার সকল অপকর্মের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
? এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।
সর্বশেষ খবর
সংবাদপত্রের পাতা থেকে এর সর্বশেষ খবর