
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দুপুরিয়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সকালে হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. রুকুনুজ্জামান, উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মঞ্জুরুল হক খন্দকার, নুরে আলম, রবিউল আলম, কৃষক সাইদুর রহমান, নুরুল আমিন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ করায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে ফলনও। আধুনিক এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে জমিতে চারা রোপণ এবং ধান কাটার কাজটিও হয়েছে যন্ত্রের সাহায্যে। এতে শ্রমিক সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমালয় চাষাবাদের মাধ্যমে কাংশা ইউনিয়নের দুপুরিয়া গ্রামে ৫০ একর জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় (যন্ত্রের সাহায্যে) কৃষকদের ধানের বীজ থেকে শুরু করে বীজতলা তৈরি, চারা রোপণ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ এবং সর্বশেষ ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার কাজটি করছে কৃষিবিভাগ।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজ করতে ৫০ একর জমিকে একত্রিত করে সমালয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়। চলতি মৌসুমের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এর আগে সাড়ে চার হাজার বিশেষ ট্রে-তে চারা তৈরি করা হয়।
কৃষক নুরুল আমিন বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় তার ৭৫ শতাংশ জমি ছিল। আজ সোমবার সকালে হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কেটে দেন কৃষি বিভাগ। তার জমি থেকে প্রায় ৬০ মণ ধান পাবেন তিনি। সমলয় পদ্ধতিতে কৃষকের কষ্ট ও খরচ কমে গেছে বলে জানান এ কৃষক।
কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সাড়ে তিন একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। এবার ধান চাষে শুধু সেচের পানি ও জমি চাষের খরচ বহন করেছেন। বোরো ধান চাষ করতে খরচ হয় নাই বললেই চলে। পাশাপাশি বাড়তি ফলনও পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সরকার ও কৃষিবিভাগের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান এ কৃষক।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, হারভেস্টার সাহায্যে ধান কেটে কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন। কৃষিবিভাগ থেকে কৃষকদের জন্য বীজ, চারা তৈরি, রোপণ, সার এবং ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া পর্যন্ত সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কৃষকরা শুধু সেচের পানি ও জমি চাষের খরচ বহন করেছে। এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট ও নানা প্রতিবন্ধকতা দূর হয়। উৎপাদন খরচও কম হচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর