
নেত্রকোণায় জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নেত্রকোণা সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়া বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে এই মামলা করেন। বিষয়টি গতকাল (মঙ্গলবার) নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোণা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ।
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান লিটন (ভিপি লিটন), সংরক্ষিত আসনের সাবেক নারী সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল, বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি নূর খান মিটু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়, পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট অসিত সরকার সজল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার ও মজিবুল আলম ফারাজি হীরা, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মারুফ হাসান খান অভ্র, সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গাজী মজাম্মেল হোসেন টুকু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান রনি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান মানিক ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্পিতা খানম সুমী ও সাধারণ সম্পাদক টিটু দত্ত রায়, যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম ফকির, সাবেক মদনী ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান নোমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান রনি, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ খান জনিসহ মোট ২৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ২২ মে সকালে জেলা শহরের ছাতবাজার এলাকায় বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। তারা রামদা, লাঠি, লোহার রড, ককটেল ও ইট-পাটকেল নিয়ে মহড়া দেয় এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় বিভিন্ন যানবাহন—ট্রাক, সিএনজি ও অটোরিকশা ভাঙচুরসহ আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
বাদী সুমন মিয়া এসব ঘটনার অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলায় নাম থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি, কারণ তারা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নেত্রকোণা সদর থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, “এই মামলার কয়েকজন আসামি ইতোমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। অনেকেই এখনো পলাতক।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর