
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় দুই ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ইউপি সদস্যরা হলেন রাঙ্গামাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সিরাজুল ইসলাম ওরুফে সিরু মেম্বার (৪৭) ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামরুজ্জান ওরুফে বাবুল (৪০) মেম্বার। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান।
পুলিশ জানায়, জোড়া খুনের ঘটনার পর আসামীরা আত্মগোপন চলে যায়। সোমবার (১২ মে) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন। দুই ইউপি সদস্য মামলার এজহারভুক্ত আসামী ছিলেন।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল মামলার ১৮ নভেম্বর আসামী মোজাম্মেল হোসেন (৪৫) ও ১৯ নম্বর আসামী মো. রিপন (৩২) কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে রিমান্ড শেষে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ দুজন আসামীর সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী আরও এক কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়াও এর আগে পুলিশ মামলার ৮ নম্বর আসামী গোলাম মোস্তফা (৫০) ও ২২ নম্বর আসামী হাফিজ উদ্দিন কে আটক করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলে পাঠায়। এ মামলার এজহার নামীয় আঃ সাত্তার ও নাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাবশালী নেতা হাবিবুর রহমানের ৩ ছেলে হাইকোর্ট থেকে আগাম ৮ সপ্তাহের জামিনে থাকার কথা জানান মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই লিটন।
অভিযোগ উঠেছে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলার মূল আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের টাল বাহানা ও আসামীরা টাকা দিয়ে পার পাবার চেষ্টা করছেন বলেও জানাগেছে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, হত্যা মালার এজহারভুক্ত আসামী দুই ইউপি সদস্যকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসা শেষে বুধবার রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের নাওগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামে শালিসকে কেন্দ্র করে আবদুল গফুর ও তাঁর ১৫ বছর বয়সী কিশোর ছেলে মেহেদী হাসান খুন হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত গফুরের স্ত্রী শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। শিল্পী আক্তার নিহত গফুরের দ্বিতীয় স্ত্রী।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর