
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে আম সংগ্রহের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে শহরের মহলদার আম্রকাননে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম গাছ থেকে আম পেড়ে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর শুরু হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার। সভাটি আয়োজনে ছিলেন জেলা প্রশাসন ও কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন,‘ আজ ১৫ মে থেকে শুরু করা হলো চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের মৌসুম। এবার আমে ভালে ফলন হয়েছে। তাই এবার আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা আশাবাদী আমের ভালো দাম পাবে।
কারণ আমের ভালো উৎপাদন ও গুণগত মান ভালো। তীব্র গরমের কারণে এবার আমের সংগ্রহের দিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। হিমসাগর আম ২২ মে সংগ্রহের তারিখ ২০ মে থেকে হিমসাগর আম সংগ্রহ করা হবে। আমের বাজারজাতকরণে যেন কোন বিগ্ন না ঘটে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখা হবে’।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘এবার আমের উৎপাদন ও ভালো ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আমের গুণগত মান ভালো হয়েছে। এই জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় আমের চাহিদা মিটাতে সক্ষম হবে বলে মনে করি। ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদন হয়েছে।
যেখানে বাজারের শুরুতেই ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে আম বিক্রি করা হবে। যা এই মৌসুমে ১৫০ কোটি টাকার আম বেচা কেনা হবে। এই আম উৎপাদনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ভাবে এগিয়ে আসলে আমের উৎপাদন আরও বাড়বে’।
সভার শেষে জানা গেছে, প্রথম দফায় গুটি ও বোম্বাই জাতের আম নামানো যাবে। এরপর হিমসাগর ২০ মে, ল্যাংড়া ২৮ মে, আম্রপালি ৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, এবং বারি-৪ জাতের আম ২৮ মে থেকে সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশীষ কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.কামরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ প্রমুখ।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর