
বর্তমান সময়ে প্রায় খাবারে ফুড কালার ও অ্যাডিটিভ অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবার! এসব খাবারে খাবারের রং, সৌন্দর্য দেখতে তো ভালোই লাগে।
কিন্তু কৃত্রিম ফুড কালার অথবা ডাই একাধিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা ডেকে আনে। স্বাস্থ্যগত কারণে হোল এবং ন্যাচারাল খাবারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করা গুরুত্বপূর্ণ।
সেই সঙ্গে কৃত্রিম রঙের ঝুঁকি নিয়েও মা-বাবাদের সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে। আজকাল বিভিন্ন খাবারে সিন্থেটিক ফুড ডাই সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এই অ্যাডিটিভের জেরে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সম্ভাব্য বিপদ উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে। শিশুরা এ ক্ষেত্রে সব থেকে দুর্বল।
কারণ তাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক তৈরি হওয়ার পর্যায়ে থাকে। আর তাদের দেহ এই রাসায়নিকের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশুদের খাবারে কৃত্রিম ফুড কালারের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে, সেই বিষয়ে সচেতন করছেন চিকিৎসকরা। ফুড কালার সাধারণত ফুড ডাই নামে পরিচিত।
এটি আসলে রাসায়নিক উপাদান। যা প্রাকৃতিক অথবা সিন্থেটিক উভয় রকম হতে পারেন। খাবারের আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি করার জন্য তা যোগ করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা স্বাদ বা ফ্লেভারও যোগ করে।
ফুড কালারের ধরন-
ন্যাচারাল ফুড কালার : সাধারণত প্রাকৃতিক উৎস থেকে নির্গত হয় এই পিগমেন্ট। এর মধ্যে অন্যতম হলো লাল রঙের জন্য বিটরুটের নির্যাস, হলুদের জন্য হলুদ গুঁড়া, সবুজের জন্য ক্লোরোফিল ইত্যাদি। এগুলো সাধারণ ভাবে নিরাপদ। এই ধরনের রঙের খুবই কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে।
সিন্থেটিক ফুড কালার : এগুলো মানুষের তৈরি রাসায়নিক উপাদান। যা খাবারের রং ও আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধির জন্য যোগ করা হয়। ন্যাচারাল ও সিন্থেটিক কালারের পার্থক্য বোঝা জরুরি। এই ধরনের ফুড ডাইয়ের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
শিশুদের জন্য সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া : ফুড কালারের কারণে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। মেডিক্যাল হিস্ট্রির ওপর ভিত্তি করে এক শিশুর থেকে অন্য শিশুর ক্ষেত্রে এই উপসর্গ সাধারণত আলাদা হয়। এটি প্রতিরোধ করতে শিশুদের হজম, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, মুড স্যুয়িং এবং দৃশ্যমান কোনো উপসর্গের ওপর নজর দিতে হবে। গুরুতর সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।
হাইপারঅ্যাক্টিভিটি : ছোট শিশুদের মধ্যে কৃত্রিম ফুড কালার ও হাইপারঅ্যাক্টিভিটি নিয়ে যোগ রয়েছে কি না, তা গবেষণা করে দেখা হয়েছে। যদিও প্রমাণ সেভাবে কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রতিদিন কৃত্রিম ফুড কালার শরীরে গেলে এর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হিসেবে হাইপারঅ্যাক্টিভিটি দেখা দিতে পারে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর