
অনেকেই দিন শুরু করেন এক কাপ কফি দিয়ে। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর নিয়মিত কফি পান করলে বাড়তে পারে আয়ু। এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে কফি খাওয়ার এই অভ্যাসটি শুধু মন ভালো করে না শরীরেরও উপকারে আসে। বিশেষ করে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং আয়ু বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
তবে যদি কফিতে চিনি, দুধ বা ক্রিম মেশানো থাকে, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পানের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখতে পারি।
গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত পরিমাণে ব্ল্যাক কফি ওজন নিয়ন্ত্রণ, মানসিক সতর্কতা বৃদ্ধি এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
চিনি ছাড়া কফি পানে বিশেষ কিছু উপকারিতা নিম্নরূপ:
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: চিনি ছাড়া কফি খেলে বিপাক বৃদ্ধি পায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: কফিতে থাকা ক্যাফেইন এডেনোসাইনকে ব্লক করে, যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও পলিফেনল ফ্রি র্যাডিকেল থেকে কোষকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ হ্রাস করে।
লিভার সুস্থ রাখে: ফ্যাটি লিভার, সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে। ৩–৪ কাপ কফি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ ও নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমায়: আলঝাইমার, পার্কিনসন, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: কফি দেহের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি: দিনে এক থেকে তিন কাপ ব্ল্যাক কফি পেলে মৃত্যুর ঝুঁকি ও হার্ট-সংক্রান্ত মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে পারে।
সুতরাং, স্বাস্থ্যের দিক থেকে কফি হতে পারে আপনার দিনের একটি স্বাস্থ্যকর অংশ, যদি তা চিনি ছাড়া খাওয়া হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর