
৯০ বছর বয়সেও গাজীপুরের কালিয়াকৈরের নাবিরবহর গ্রামে মালাই চা বিক্রি করছেন রহিম উদ্দিন, যাকে সবাই পঁচা মিয়া নামে চেনেন। তার ব্যতিক্রমী দোকানের বিশেষত্ব-এক কাপের বেশি চা তিনি কাউকে দেন না।
প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে তার পলিথিনে মোড়ানো ছোট ঝুপড়ির দোকানটি, যেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করে চা খেতে। মাটির চুলায় ৩ ঘণ্টা ধরে তৈরি হয় এই মালাই চা, যেখানে ব্যবহার করা হয় ৪০ কেজি খাঁটি গরুর দুধ, আর শুক্রবার লাগে ৮০ কেজি। পুরো কাপজুড়ে থাকে দুধ আর সামান্য লিকার ও চিনি।
৭০ বছর ধরে চা বিক্রি করে আসা পঁচা মিয়া প্রথমে ঢাকার মহাখালীতে কাজ শিখেছেন ওস্তাদ মহসিন মুন্সির কাছ থেকে। তখন এক কাপ চায়ের দাম ছিল ১০ পয়সা, এখন ২০ টাকা। প্রতিদিন ৪-৫ হাজার টাকার চা বিক্রি করেন তিনি।
দর্শনার্থীরা এককাপ চায়ের স্বাদে মুগ্ধ হলেও হতাশ হন দ্বিতীয় কাপ না পেয়ে। পঁচা মিয়ার কথায়, “লক্ষ টাকা দিলেও এক কাপের বেশি চা দেব না, এটাই আমার ব্যবসার নিয়ম।”
চা প্রেমি সোহেল তানভীর জানান, রাজেন্দ্রপুর থেকে এসেছি উনার চায়ের খুব নাম ডাক শুনেছি, আমি চা প্রেমি মানুষ ভালো চায়ের খবর পেলেই চলে যাই। চা টা খুবই অসাধারণ তবে দ্বিতীয় কাপ খেতে চাইলে উনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। আমি বহু ভাইরাল জায়গাতে গিয়েছি একের অধিক চাইলে পেয়েছি কিন্তু তার ব্যবসার নিয়ম টা ব্যক্তিক রকম।
চা খেতে আসা শহিদুল জানান, গাজীপুর বাংলাবাজার থেকে এসেছি বন্ধুদের নিয়ে চা খেতে এটা ভাইরাল একটা চায়ের দোকান দুর থেকে শতশত মানুষ আসে আমরাও এসেছি চা খুব ভালো মজা পেয়ে দ্বিতীয় কাপ চাইলে আর হবে না বলে না করে দেন ওনি, শত অনুরোধ করেও দ্বিতীয় কাপ পেলাম না, এটা নাকি ওনার ব্যবসার নিয়ম এক কাপের বেশী দ্বিতীয় কাপ দেয়া হয় না।এখন হতাশা নিয়ে চলে যাচ্ছি।
পচা মিয়া বলেন,আমার প্রথম চা বিক্রি শুরু ঢাকায় ৭০ বছর ধরে চা বিক্রি করছি, ১০ পয়সা থেকে শুরু করে এখন ২০ টাকা ৩০ টাকা কাপ বিক্রি করি। চায়ের স্বাদ ভালো বলে দৈনিক দুর থেকে শত শত লোক আসে।
তিনি আরো বলেন, আমার ওস্তাদ বলেছেন এক কাপের বেশী দ্বিতীয় কাপ চা কখনো বিক্রি না করি। এক দিনে একজন কাস্টমার এক কাপের দ্বিতীয় কাপ না যেন পায়।
তাই চা প্রেমি মানুষ এক কাপ শেষ করে দ্বিতীয় কাপ চা না পেয়ে হতাশ হয়ে যায়। তবুও ওস্তাদের কথার অবাধ্য হইনা। নিয়ম মেনে ব্যবসা করে আসতেছি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর