চট্টগ্রামে প্রাইম মুভার ও ট্রেইলারচালক-শ্রমিকদের ডাকে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট চলছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। 

কর্মবিরতির ফলে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি কনটেইনার পরিবহণ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি ডিপো মালিকরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে আগ্রাবাদে ছুরিকাহত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য একটি প্রাইম মুভার গাড়ি থামায় পুলিশ। এত বড় গাড়িতে রোগী পরিবহণ সম্ভব না জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসিসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য সংগঠনের সভাপতি সেলিম খান, চালক দেলোয়ার ও ফয়সালকে মারধর করে। এর প্রতিবাদেই সংগঠনটির পক্ষ থেকে গতকাল (বুধবার) কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে ২১টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো আছে। ধর্মঘটের কারণে সবগুলো ডিপোতেই কার্যত অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বন্দরের অভ্যন্তরে জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা অব্যাহত আছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার, কংক্রিট মিক্সার, ফ্ল্যাটবেড, ডাম্প ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গত মঙ্গলবার আমাদের ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম খান ও দুই শ্রমিককে পাহাড়তলী থানায় নিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে এ ধর্মঘট চলছে।’

উল্লেখ্য, দেশের আমদানি-রফতানি পণ্যের ৯৯ শতাংশ কন্টেইনারের মাধ্যমে পরিবহণ হয়। রফতানি পণ্য কারখানা থেকে প্রথমে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা অফডকে নেওয়া হয়। সেখানে কাস্টমসসহ বিভিন্ন সংস্থার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর সেই পণ্য কন্টেইনারে তোলা হয়।

এরপর প্রাইম মুভার- ট্রেইলার গাড়িতে সেই কনটেইনার পাঠানো হয় বন্দরে। সেখান থেকে জাহাজে ওঠানোর পর রফতানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার যায় নির্ধারিত গন্তব্যে।

অফডক থেকে রফতানি ও আমদানি পণ্য মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার কনটেইনার পরিবহণ হয়।

মুনতাসির/সাএ