
আইন লঙ্ঘন করে পশু জবাই করার অপরাধে দুই মাংস বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ বিথী দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে দিকে বরগুনা পৌর মাংস বাজারে জবাই খানায় পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১১ এর ৫ এর ২ ও ৬ ধারার বিধান লঙ্ঘন করায় এ দন্ড দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সহায়তায় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহের এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
বরগুনা সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় আইনানুযায়ী বাণিজ্যিক ভাবে মাংস বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো পশু জবাইয়ের আগে পশুটিকে সরকারি একজন পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকের কাছে যদি পশুটিকে জবাইয়ের জন্য উপযুক্ত মনে হলে ওই চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও সিলমোহর যুক্ত পশুটি জবাইয়ের ছাড়পত্র প্রদান করার পরে পশুটি জবাই করে মাংস বিক্রয় করতে পারবেন।
কিন্তু দণ্ডিত ওই দুই মাংস বিক্রেতা আইন লঙ্ঘন করে চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়া তিনটি গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করছেন। এমন তথ্য পেয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিথী দেবনাথ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহের কে সাথে নিয়ে মাংস বাজারে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে সোহেল পঞ্চায়েত ও নাসির নামের দুই মাংস বিক্রেতাকে (প্রতি জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে) ভ্রাম্যমাণ আদালতে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বরগুনা সদর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিথী দেবনাথ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১১ বিধান লঙ্ঘন করে মাংস বিক্রি করায় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে দুই মাংস বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই আইনে বিধিমালা যেন লঙ্ঘিত না হয় সে বিষয়ে দণ্ডিতদের সতর্ক করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর