
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নকল সোনার মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণা করায় ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেই মামলায় প্রতারক চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিশারপুর ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের খোরশেদ আলম ওরফে খুশি (৫৪), আবুল কালাম (৫০) এবং ইদ্রিস আলী (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান মোল্লা গত রমজান মাসের আগে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী ফুরফুরা দরবার শরীফের ওরশে যাওয়ার সময় শেরপুরের খোরশেদ আলমের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং তাকে ধর্ম ভাই বানান। পরবর্তীতে খোরশেদ বেশ কিছুদিন ধারে তাদের মোবাইলে কাথাবার্তা হয় এক পর্যায়ে খোরশেদ জানান, তার আত্মীয় পুকুর খননের সময় ৫শ গ্রাম ওজনের একটি সোনার মূর্তি পেয়েছে। মূর্তিটি পাঁচ লাখ টাকা হলে বিক্রয় করে দেবে। প্রাথমিকভাবে দুই লাখ টাকা দিতে হবে।
সেই কথা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে আসাদুজ্জামান তার স্ত্রীকে নিয়ে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে সগুনা গ্রামে খোরশেদের বাড়িতে যান। সেখানে খোরশেদ, আবুল কালাম ও ইদ্রিস আলী একটি সোনালি রং এর পিতলের তৈরি মূর্তি তার হাতে তুলে দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে নেন।
পরবর্তীতে আসাদুজ্জামান মূর্তিটি নিয়ে শেরপুর শহরের একটি স্বর্ণকারের দোকানে যাচাই করতে গেলে তারা পরীক্ষা করে জানান, এটি সোনার নয় বরং পিতলের তৈরি। প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতারকরা তালবাহানা শুরু করলে আসাদুজ্জামান রাতেই শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করে। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রতারক চক্রের সদস্য ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ধরনের প্রতারণা রোধে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর