
মোংলায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চাঁদপাাঁই ইউনিয়নের কানাইনগর ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ১৫ মে রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত ধর্ষক শফিকুল ইসলাম টিটু (৩৫) কে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী গত ১২ মার্চ থেকে উপজেলার চাদঁপাই ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় নুরুল আমিন নামের এক মালিকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন ৩০ বছরের এক নারী। ভাড়া নেয়ার পর থেকেই ওই ভাড়াটিয়ার উপর বাড়ির মালিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম টিটুর খারাপ নজর পড়ে। প্রাশই টিটু তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করেণ ওই নারী। গত ১৫ মার্চ গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রথম ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে বাড়ির মালিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম টিটু।
এ ঘটনা কাউকে কিছু বলে দিলে টিটু তাকে হত্যাসহ প্রাণ নাশের হুমকিও দিয়েছে বলে থানার মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেই থেকে প্রায় দুই মাস যাবত টিটু তাকে ভয়ভীতি দিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলো বলে জানায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী। ধর্ষক টিটু কানাইনগর এলাকার মৃত আঃ জলিল খানেসর ছেলে।
সব শেষ গত (১৩ মে) রাতে ওই নারী ঘর থেকে বের হয়ে কলে পানি আনতে গেলে কৌশলে ওই নারীর ঘরে ঢুকে পালিয়ে থাকে শরিফুল ইসলাম টিটু। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে পুনরায় মুখ চেপে ধারে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত টিটু।
এসময় ওই নারী ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে শফিকুল ইসলাম টিটুকে অভিযুক্ত করে (১৫ মে) রাতে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।যার মামলা নং-৮। পরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত টিটুকে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ।
মোংলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান বলেন, ১৫ মে রাতে এক নারী শফিকুল ইসলাম টিটু নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের শেষে অভিযুক্ত টিটুকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে টিটু। ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযুক্ত ধর্ষক শফিকুল ইসলাম টিটুকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান থানার এ কর্মকর্তা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর