
মৃত্যুর ৩ মাস পরে পরিবারের হাতে এসে এসেছে সৌদি প্রবাসী নুর আলম খানের (৩৬) লাশ।
শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯ টায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ইদগাহ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
নুর আলম গোবিন্দপুর গ্রামের উমর আলী খানের ছেলে। সে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
জানা যায়, ছেলে-মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ২০২৪ সালের শেষের দিকে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নুর আলম খান। সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না আর। দুই মাসের মাথায় ২০ জানুয়ারি সৌদি আরবের রিয়াদে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পরে তাকে রিয়াদ ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জীবন বাঁচাতে এ সময় তার দুটি পা কেটে ফেলে চিকিৎসকরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে নেমে আসে শোকের মাতম।
নিহতের আত্মীয় মাহফুজ খান বলেন, ধার-দেনা করে বিদেশ গেছিল আমার ভায়রা-ভাই নুরআলম খান। পৈতৃক ভিটা বাদে তার কোনো জমি নাই। তার মৃত্যুতে স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যৎ খুবই খারাপ। কে দেখবে এই সংসার।
তিনি বলেন, নুর আলম প্রবাসে মারা যাওয়ার তিন মাস পর মরদেহ দেশে আসলো। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মরহুমের জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর