
আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন খামারে প্রস্তুত করা হচ্ছে গরু। এবারো গরু হাটে তোলার জন্য তোড়জোর শুরু করেছে খামারিরা।
তবে এবার গরু বেচাকেনায় লোকশানের আশঙ্কায় আছেন প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা। বড় সাইজের গরু এবার বিক্রি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ছোট সাইজের গরুর কিছুটা চাহিদা রয়েছে। আগের তুলনায় দাম বেড়েছে সব ধরনের গো খাদ্যের। এজন্য প্রতিটা গরুর পিছনে দৈনিক দেড়হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
জেলার প্রতিটা খামারে দেশি জাতের গরু হাটে তোলার জন্য যত্ন-পরিচর্যা করা হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য খামারে বাড়তি ভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে ব্রাহমা ও অস্ট্রেলিয়া জাতের গরু। এবার বড় গরু কেনার ক্রেতা না থাকার আশঙ্কাও রয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তার ছাপ পড়েছে খামারিদের কপালে। তবুও জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে এসব খামারের গরু।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট খামারের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৮২ টি। গরু, ছাগল ও ভেড়া মিলে এবার মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মাঝহাদ গ্রামের খামারি "হাজ্জাজ আলী জানান, এবার আসলে বড় গরু বাজারজাত করা নিয়ে পড়েছি দুশ্চিন্তায়। আর তাছাড়া ছোট গরু এবার বাজারে চাহিদা তুলনায় বিক্রি করা হবে। আর বড় ধরনের গরু বিক্রি হবে না। ক্রেতা নেই বাজারে। আর তাছাড়া সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম বেশি। গরু লালন পালনে অনেক খরচ। তবে এবার ভারত থেকে এদেশে গরু না প্রবেশ করলে ছোট সাইজের গরুর দাম পাওয়া যাবে। আর বড় সাইজের গরু নিয়ে এবার খামারিরা বিপাকে আছে।"
এবিষয়ে কথা হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা "ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিবারই খামারিদের বলা হয় যে ছোট সাইজের গরু লালন পালন করতে। কিন্তু অনেক সময় বড় সাইজের গরু ক্রেতা পাওয়া যায় না। আর তাই এবার বড় গরুর ক্রেতা না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে খামারিরা। তবে ছোট সাইজের গরু বেশি বেশি করে লালন পালন করার জন্য প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এবার এজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার মেটাতে সক্ষম হবে চুয়াডাঙ্গা খামারিদের গরু ছাগল ও ভেড়া।"
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর
কৃষি, অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর