
কয়েকদিনের একটানা প্রবল বর্ষণে বরগুনা জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত এবং আমন ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শহরে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করলেও মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। ফলে নিম্নবিত্ত মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
দেখা গেছে, আষাঢ় মাসের প্রথম থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকে টানা মুষলধারে অথবা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে গত পাঁচ দিনের টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে বরগুনা জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বৃষ্টির পানি থৈ থৈ করছে। বুধবার সকালে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে যানবাহন খুবই কম। বৃষ্টির মধ্যে অল্প কিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জনজীবনে স্থবিরতা বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শুধু জীবিকার তাগিদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রিকশাচালক, শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ বের হয়েছেন। এতে বরগুনার বড়ইতলা, কাকচিড়া, আমতলী, বরগুনা এবং বগি চালিতাতলী খেয়াঘাটসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তীরবর্তী বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। উচ্চ জোয়ারে ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার পানি খাল-নালা থেকে সময়মতো নামতে না পারায় কৃষকের কাঙ্ক্ষিত বীজতলাগুলো পচে যাচ্ছে। এতে আমনে বড় ধরনের একটি ধস আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলের ফসলি ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আমনচাষিরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ভারী বর্ষণের প্রভাবে এবং জোয়ারের পানিতে বরগুনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের আমন ফসলের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই আগাম আমন ফসল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সর্বশেষ খবর