
কক্সবাজারের টেকনাফের তুলাতলী ঘাটে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক জেলে নিহত এবং লাশ গুমের অভিযোগে চরম উদ্বেগ আর অপেক্ষার মধ্যে দিন পার করছেন পরিবার।
গুলিতে নিহত মোহাম্মদ তাহেরের (৪০) মরদেহ ফেরত না পেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ছুটছেন স্বজনরা।
পরিবারের দাবি, গত সোমবার রাতে মাছ ধরতে গিয়ে কোস্টগার্ডের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জেলে ও নৌকার মালিক তাহের। তবে এখনও পর্যন্ত তার লাশের কোনো হদিস মেলেনি। বরং কোস্টগার্ড দাবি করেছে, অভিযানে তারা তিনজনকে আটক করেছেন এবং তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।
আটক তিনজনের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের সবার পরিচয় রোহিঙ্গা বলে উল্লেখ করেছে কোস্টগার্ড। অথচ নিহত তাহেরের পরিবার বলছে, এ ঘটনা আড়াল করতেই প্রকৃত পরিচয় গোপন করা হয়েছে।
তাহেরের বড় ভাই মোহাম্মদ কাশিম জানান, “তাহেরসহ সাতজন জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সেখানেই কোস্টগার্ড গুলি চালায়। তাহের মারা গেলে লাশটি প্যাকেটে মুড়িয়ে অটোরিকশায় তুলে কোথায় যেন নিয়ে যায়। চারদিন ধরে লাশ খুঁজছি, এখনো ফেরত পাইনি।”
ঘটনার পরপরই তাহেরের চাচা আশরাফ আলী টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেন। ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন জানান, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা তিনজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তরের কথা বলেছে। তবে তাহের নামে কাউকে আটকের কথা তারা জানায়নি।”
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা গত মঙ্গলবার টেকনাফে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তারা দ্রুত তাহেরের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।
তবে প্রশাসনের নীরবতা আর কোস্টগার্ডের রহস্যজনক আচরণে হতবিহ্বল পরিবার এখনো অপেক্ষা করছে একটি দাফনের সুযোগের জন্য।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর