
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩২ হাজার ৮৫৯ টি পশু। আর মাত্র ১০ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা অর্থাৎ কুরবানির ঈদ।
আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর বাজারে ভালো দামের আশায় ছোট-বড়-মাঝারি ও প্রান্তিক খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শেষ সময়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা।
উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলে ১হাজার ১০০ জন খামারী রয়েছে। এছাড়াও গৃহস্থরা নিজ বাড়িতেও গরু- ছাগল পালন করছেন। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ষাঁড় ৭২৮৯টি, বলদ ৩৬৯টি, গাভী ৩৯৭১টি, মহিষ ৯টি, ছাগল ১৮৬৪১টি ও ভেড়া ৩৫৮০টি সহ মোটি ৩২৮৫৯ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২২৫০০ টি। কুরবানির চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার ১০৩৫৯টি পশু উদ্বৃত থাকবে।
স্থানীয় খামারিরা জানান, উপজেলায় পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। কোনোভাবেই যাতে ভারত থেকে গরু না আসতে পারে সেদিকে প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে। আর যদি ভারতীয় গরু আসে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন খামারিরা।
তারা আরো জানান, এবছর কুরবানির জন্য আমার খামারে দেশী বিদেশিসহ বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তুত করেছি। এগুলো স্থানীয়ভাবে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে এবছর খৈল , গমের ভুষি ও খড় সহ অন্যান্য পশু খাদ্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি কারণে গরু পালনে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আশানুরুপ দাম পেলে লাভবান হওয়ার আশা করছি।
উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের খামারী নুরনবী জানান, তার খামারে ২৮ টি গরু রয়েছে। ৩টি আজ (মঙ্গলবার) বিক্রি করেছি। গরুর দাম মোটামুটি ভালো।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, আমার খামারে ১২টি গরু আছে। এর মধ্যে ৮ টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত। যদি ভারতের গরু না আসে তাহলে আমরা স্থানীয় খামারিরা ভালো দাম পাবো।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশিকুজ্জামান জানান, আমাদের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে গৃহস্ত ও খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । সীমান্ত দিয়ে যে অন্যদেশের কোন গরু প্রবেশ করতে না পারে এজন্য মাসিক আইন শৃংখলা কমিটির মিটিং এ বলা হয়েছে। ভারতীয় গরু প্রবেশ করলে দেশীয় খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তিনি আর ও জানান, কোরবানিতে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ১০৩৫৯ টি পশু উদ্বৃত রয়েছে। যা অন্যত্রে পাঠাতে পারবে খামারি ও গৃহস্তরা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর