
বরিশাল নগরীতে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩১ মে) রাতে ফকির বাড়ি রোডে জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় পার্টির অভিযোগ, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই হামলায় জড়িত। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলছেন, জাতীয় পার্টির মিছিল থেকে তাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে দলটির নেতা-কর্মীরা বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। মিছিলটি ফকির বাড়ি রোডের দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। জাতীয় পার্টির কর্মীরা প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এম এ জলিল, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম গফুর, আক্তার রসান সফরু ও তরুণ পার্টির আহ্বায়ক জুম্মান হায়দারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জুম্মান হায়দারকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল অভিযোগ করেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে তাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে।
বরিশাল মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর জানান, জাতীয় পার্টির মিছিল থেকে তাদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে কটূক্তি ও সরকারের সমালোচনা করা হয়। প্রতিবাদ করলে জাতীয় পার্টির কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। তাদের ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের মধ্যে বরিশাল মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন তালুকদার, জেলা কমিটির সভাপতি শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজি ও কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিরাজ হোসাইন রয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম সাগর জানান, জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। তবে জাতীয় পার্টির লোকজন একজনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে, যাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর