
মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নৌ চ্যানেলের গভীরতা ধরে রাখতে আবারও খনন কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বন্দরের অভ্যন্তরীণ নৌ চ্যানেলের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং করা হবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এই খনন কাজ শেষ হলে বন্দরে গভীরতার দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়তে পারবে এবং পণ্য আমদানি-রফতানিতে গতি বাড়বে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের অভাবে এক সময় বন্দরটি প্রায় অচল হয়ে গিয়েছিল। নাব্য সংকটের কারণে জাহাজ ভিড়তে না পারায় ব্যবসায়ীরা আমদানি-রফতানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ২০২০ সালে ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বহির্নোঙর ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর বর্তমানে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে বন্দরে আসতে পারছে। এখন বন্দর জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারে ৯.৫০ মিটারের বেশি গভীরতার জাহাজ ভেড়ানোর জন্য ১৪৫ কিলোমিটার নৌ চ্যানেলের মধ্যে ৪৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। এর ফলে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রধান মো. জহিরুল হক জানান, নৌ চ্যানেল বন্দরের প্রাণ। চ্যানেলটিকে সচল রাখতে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যাতে ব্যয় হবে এক হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সমুদ্র বন্দরকে টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত পশুর চ্যানেল ড্রেজিংয়ের বিকল্প নেই। ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে অভ্যন্তরীণ ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বন্দর ব্যবহারকারী ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম মনে করেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নৌ চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের বিকল্প নেই। ড্রেজিং বন্ধ হয়ে গেলে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হবে এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এই খনন কাজ বন্দরের গতিশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর