
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় একটি রাইচ মিলে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
উপজেলার নন্দনপুর বাজারের এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম পলাশ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৬ মে সন্ধ্যায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা তাদের দলবল নিয়ে রফিকুল ইসলামের রাইচ মিলে হামলা চালায়। এ সময় তারা মিলের সামনে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং টিনের বেড়া কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
বাধা দিতে গেলে চারজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিল থেকে চার বস্তা সরিষা ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
মামলায় ধোপাদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ইসরাফিল প্রামানিক এবং ধোপদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, অভিযুক্ত ইসরাফিল প্রামানিক এর আগেও তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় তিনি তার লোকজন নিয়ে রাইচ মিলে হামলা চালান। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
নন্দনপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলী মর্তুজা বলেন, এই হামলার ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়িক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য ইসরাফিল প্রামানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রফিকুল ইসলামের লোকজন তার ভাইয়ের বিকাশের দোকানে হামলা ও লুটপাট করেছে। তিনি দাবি করেন, তারাই নিজেদের মিল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ইসরাফিল প্রামানিকও পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে। রফিকুলের মামলায় ১৭ জন এবং রুহুল আমিন মিন্টুর মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর