
শেরপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় আরমান-আবির হজ সার্ভিস ও হাসিনা এয়ার ট্রাভেলস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হজ যাত্রায় প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এই দুই উপজেলার ১১ জন হজযাত্রীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে নিয়ে, হজ্বের নিবন্ধন, ভিসা ও টিকিটের ব্যবস্থা না করার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২৫ সালের হজ পালনের উদ্দেশ্যে তারা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং প্রত্যেক হজযাত্রী ৫ লক্ষ টাকা করে পরিশোধ করেন। তবে, নির্ধারিত সময়ে হজ্বের ভিসা, টিকিট বা নিবন্ধন কিছুই পাননি। যোগাযোগ করা হলে, কোম্পানিটি বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে, কোম্পানির একটি হজ্বের ফ্লাইট হলেও তাদের সাথে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা হজ্বে যেতে পারেননি।
শেরপুর উপজেলার দোয়ালসারা এলাকার ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিশালপুর ইউনিয়নের দুবলাই গ্রামের হেলাল উদ্দীন, হাফেজ মজনু মিয়া, মাহবুবুল আলম এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের হোসেয়ারপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম ও রুহুল আমিনসহ প্রতারিত হজযাত্রীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটি বারবার ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তন করে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা হজ্বে যেতে পারেননি এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তারা আরও বলেন, "আমরা বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কোনো কাগজপত্র দেয়নি, শুধু আশ্বাস দিয়েছে। এখন তারা ফোনও ধরছে না।"
এ বিষয়ে আরমান-আবির হজ সার্ভিস হাসিনা এয়ার ট্রাভেলসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ১১ জনকে ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রান্সফার করে আনার কথা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব না হওয়ায় তারা হজ্বে যেতে পারেননি। তিনি জানান, তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর