
টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার নদ-নদীর পানি বেড়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৮.৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দীঘলবাক ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ইউনিয়নের গালিমপুর-মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ৩০টি পরিবারের মধ্যে মঙ্গলবার ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক ড. মোঃ ফরিদুর রহমান। এ সময় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ডাইক উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে গালিমপুর, মাধবপুরসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কসবা, আউশকান্দি ইউনিয়নের পাহাড়পুর, পারকুল, ঢালার পাড় এবং ইনাতগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গালিমপুর, মাধবপুর ও পশ্চিম মাধবপুর গ্রামের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত ৫০টি পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া ও ধনিয়ার গুঁড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছে এবং দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর