
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নবীগঞ্জের পশুর হাটগুলোতে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে। নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুর এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে পশু সরবরাহ পর্যাপ্ত। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, দু-একদিনের মধ্যে হাট আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।
মঙ্গলবার নবীগঞ্জ পৌর পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশ সমাগম দেখা যায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় বেচাকেনা কম হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটগুলোতে গরু ও ছাগলে পরিপূর্ণ। তবে দাম বেশি হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা কোরবানির পশু কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক ক্রেতা দাম বেশি চাওয়ার কারণে পশু না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আরও কয়েক দিন পর কেনার কথা ভাবছেন।
জায়িদপুর গ্রামের গরু বিক্রেতা কাদির মিয়া জানান, দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা পশু না কিনে চলে যাচ্ছেন। ফলে আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় তাদের গরু ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে পশুর হাটের চিত্র ভিন্ন। ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রবাসীরা এবং দূরের স্বজনেরা সরাসরি গরু দেখে পছন্দ করছেন। এছাড়াও, অনেকে গরুর ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আপনজনদের সাথে শেয়ার করছেন।
উপজেলার ঘোলডুবা গ্রামের ক্রেতা আলমগীর মিয়া জানান, বাজারে দাম খুব বেশি হওয়ায় কোরবানি পশু কিনতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি মনে করেন, আগামীতে দাম কমতে পারে।
নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, নবীগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ পশু প্রয়োজন। সেখানে ১৬ হাজার ৫০০-এর বেশি পশু লালন-পালন করা হয়েছে। তাই কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই।
তিনি আরও জানান, কোরবানির সময় অনেকেই গৃহপালিত পশু বিক্রি করেন। অসুস্থ পশু যাতে হাটে আসতে না পারে, সে জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর