
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বরগুনার পাথরঘাটার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী এলাকায় হলতা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
এতে নাচনাপাড়া ও কাঠালতলী ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটির প্রায় ২০ মিটার অংশ ভেঙে যাওয়ায় ছয়টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের দুর্ভোগ কমাতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বরগুনা কন্টিনজেন্টের সদস্যরা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। গত রোববার (১ জুন) থেকে সড়কের ভাঙা অংশে অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু করে এবং আজ (৫ জুন) সেটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আখতারুজ্জামান খান বাদল বলেন, "আগে এমন কাজ ২-৩ বছরেও শেষ হতে দেখা যায়নি। এত দ্রুত সাঁকোটি তৈরি হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। নৌকায় বা ঘুরে বাজারে যেতে হতো। এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।"
স্থানীয় ব্যবসায়ী নূরুল আমিন শিকদার বলেন, "নৌবাহিনীকে এতদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে দেখেছি। তারা যে এতটা মানবিক, তা জানা ছিল না। বৃষ্টিতে ভিজে পানির মধ্যে পিলার বসিয়ে সাঁকো নির্মাণ করছে, এটা দেখে চোখ জুড়িয়ে গেছে।"
সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন, সাঁকোটি না হলে দুই পাড়ের হাজারো মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি হতো। স্থানীয় লোকজন উপজেলা প্রশাসন ও নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুত কাজ করায় তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
নৌবাহিনীর কমান্ডার (বরগুনা) এম ওয়ালী উজ জামান বলেন, ২৯ মে নিম্নচাপের কারণে বেড়িবাঁধসহ ২০ মিটার রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় পাঁচটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। জনস্বার্থে নৌবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর