ঈদুল আজহার দিন বন্ধ ছিল মেট্রোরেল। ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে চালু করা হয় মেট্রোরেল পরিষেবা। পরিচ্ছন্নতার সুবিধার্থে যানবাহনটিতে কাঁচা ও রান্না করা মাংস নিয়ে যাতায়াত নিষেধ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

নানান কায়দায় মেট্রোতে মাংস নেওয়ার চেষ্টা করছেন যাত্রীরা। কেউ বড় পলিথিনে, কেউ চটের ব্যাগে নিয়ে এসেছেন কাঁচা মাংস। আবার অনেকেই রান্না করা মাংস প্লাষ্টিক কন্টেইনারে নিয়ে মেট্রোরেলে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আবার ডিএমটিসিএলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে দিচ্ছেন জ্বর ও শরীর ব্যথার অজুহাত।

বিকালে সাড়ে ৩টায় পল্লবী মেট্রো স্টেশনে যাত্রীর ভিড় ছিল কম। অন্তত ৪ জন যাত্রীকে মাংস নিয়ে মেট্রোতে প্রবেশের চেষ্টা করতে দেখা যায়। যদওি মাংস নিয়ে ওঠা যাবে না এমন নিষেধাজ্ঞা টানানো ছিল।

টিকিট চেকপয়েন্টে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করছিলেন নিরাপত্তাকর্মী কামরুল। ব্যাগের নিচে হাত দিয়ে বা ব্যাগ খুলে দেখছিলেন তিনি। তিনি বলেন, অনেকেই মেট্রো স্টেশনে মাংস নিয়ে আসছেন। তাদের মেট্রোরেলে উঠতে দিচ্ছি না। মাংস না নেওয়ার নির্দেশনা আছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এক বিজ্ঞপ্তিতে রোববার সকাল থেকে মেট্রোরেল চালুর তথ্য দিয়ে মাংস-চামড়া বহনে বিরত থাকতে বলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমটিসিএল বলেছে, প্রতিটি স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে। কোনো যাত্রীর কাছে কাঁচা কিংবা রান্না করা মাংস পাওয়া গেলে তাকে মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

রোববার ৩০ মিনিট হেডওয়ে অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচল করছে। তবে সোমবার (৯ জুন) থেকে সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল যথারীতি চলাচল করবে।

মিরপুর-১ থেকে বাজারের ব্যাগে করে কাঁচা মাংস নিয়ে টিকিট চেকিং পার হওয়ার চেষ্টা করেন আবু বকর। তিনি যাবেন উত্তরা।

এই ব্যক্তি বলেন, আমার অনেক জ্বর। টিকিটও কেটে ফেলছি। আমাকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী কামরুল তাকে কাউন্টারে কথা বলতে বলেন।

আরেক যাত্রীকে পলিথিনের ব্যাগে মাংস নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ওই যাত্রী নিরাপত্তাকর্মীকে বলেন, আমার শরীর ব্যথা ভাই। উত্তরা যাব, একটু যেতে দিন। এত দূরের পথ, মেট্রোরেলে যেতে দিন। জবাবে নিরাপত্তাকর্মী জানান, আপনার পলিথিনের নিচে ভিজে গেছে। এখানে নিষেধের কথা লিখা আছে।

রান্না করা মাংস প্লাষ্টিকের কন্টেইনারে করে নিয়ে যেতে চাইছিলেন এক দম্পতি। তবে তাদেরও উঠতে দেওয়া হয়নি। পুরুষ সদস্যটি বলে ওঠেন, টিকিট তো কেটে ফেলছি। আর খাবার পলিথিনে মোড়ানো, সমস্যা হবে না। নিরাপত্তাকর্মী তাকে কাউন্টারে টিকিট ফেরত দিতে বলেন।

বিকেলে মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে। বেশিরভাগেরই গন্তব্য ছিল আগারগাঁওয়ের বিমান জাদুঘর, টিএসসি কিংবা রমনা পার্ক।

বাঁধন/সিইচা/সাএ