কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বংশের মধ্যে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে মুন্সি বাড়ি ও বাদার বাড়ির বংশের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে বাদার বাড়ির বংশের আশরাফুল (১২), মিষ্টু মিয়া (২৬), সিয়াম মিয়া (১৫), কাউসার মিয়া (১৫), ফেরদৌস আহমেদ (১৬), সুমন মিয়া (২৮), আলাল উদ্দিন (৩৫) এবং সহেদ মিয়া (৪০) রয়েছেন।

অন্যদিকে, মুন্সি বাড়ির বংশের জামাল মিয়া (৯০), বাসির মিয়া (৩০), নজরুল ইসলাম (৪৫), আঙুর মিয়া (৪০), অমিত হাসান (১৮), স্বাধীন (২২), সিয়াম (২২), নিলয় (১৭), জুনাত (৩৩), সোহাগ মিয়া (৩০), রুনা বেগম (৩৭) ও নাদিয়া বেগম (৪০) আহত হয়েছেন। এছাড়াও উভয় পক্ষের আরও ৫ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, তুলাকান্দি গ্রামের মুন্সি বাড়ি ও বাদার বাড়ির বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলছিল। গত ৯ জুন মুন্সি বাড়ির যুবকেরা তাদের বাড়ির মাঠে ফুটবল খেলতে গেলে বাদার বাড়ির যুবকেরা বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষে বাকবিতণ্ডা হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলে দুই পক্ষকে শান্ত করেন। কিন্তু আজ সকাল ১০টায় বাদার বাড়ির বংশের এক যুবককে মুন্সি বাড়ির যুবকেরা মারধর করে। এর জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

উভয় পক্ষ দা, বল্লম, টেঁটা, লাঠি সোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের ২৫ জন নারী-পুরুষ আহত হন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওম্মে হাবীবা জুঁই জানান, আহত ১২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের অনেকেই ভৈরবের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

মুন্সি বাড়ির বংশের নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বাদার বাড়ির যুবকেরা তাদের জমিতে ফুটবল খেলতে বাধা দেওয়ায় এবং মারধর করায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

বাদার বাড়ির বংশের আকবর ফকিরের দাবি, মুন্সি বাড়ির লোকজন তাদের বংশের একজনকে মারধর করে এবং বাড়িঘরে হামলা চালায়।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানি জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সালাউদ্দিন/সাএ