সুন্দরবনের করমজল ডে ভিজিটর সেন্টারকে বন বিভাগের তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রেখে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবিতে আজ রবিবার মোংলার ফেরিঘাট এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর, মোংলা বন্দর ডেনিস বডি মালিক সমবায় সমিতি, মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝি-মাল্লা সংঘ ও মোংলা বন্দর স্টিল লঞ্চ মালিক সমবায় সমিতি যৌথভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

মাঝিমাল্লা ইউনিয়নের নেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, প্রতি বছর বন বিভাগ ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মাছ ও বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ এবং প্রজনন নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, করমজল পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে গড়ে ওঠা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই করমজলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য তিনি আবেদন জানান।

তিনি আরও বলেন, করমজল সুন্দরবনের প্রবেশমুখে অবস্থিত এবং এখানে রাতে থাকার সুযোগ নেই। এটি চিড়িয়াখানার আদলে তৈরি হওয়ায় বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা কম। তাই করমজলকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার দাবি জানান তিনি।

নূর আলম শেখ আরও বলেন, করমজলে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে পর্যটন ব্যবসায় জড়িতদের জীবন-জীবিকা রক্ষায় বিশেষ ভাতা/সহায়তা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের বিনাসুদে ব্যাংক ঋণ ও বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ দেলোয়ার হোসেন পরিবেশবান্ধব টেকসই পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারকে প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করার কথা বলেন। তিনি করমজলকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার পাশাপাশি এই শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের কাছে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।