ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের বাজেট ৯০ কোটি ২৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেশি। তবে বাজেটে গবেষণার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ২.০৮ শতাংশ।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে এই বাজেট উপস্থাপন করেন। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় এই বাজেট অনুমোদিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট চাহিদা ছিল ১ হাজার ২৫১ কোটি টাকা। অনুমোদিত বাজেটে ঘাটতি থাকছে প্রায় ২১৬ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটের ৮৫.২৮ শতাংশ অর্থাৎ ৮৮৩ কোটি ৪ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সরবরাহ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে আসবে ৮.৬৯ শতাংশ অর্থাৎ ৯০ কোটি টাকা। ঘাটতি থাকবে ৬. ০৩ শতাংশ অর্থাৎ ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটের ৬২.৬৯ শতাংশ (৬৪৮ কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে ব্যয় হবে। পণ্য ও সেবা সহায়তা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ (২৮৫ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার টাকা)।

বাজেট উপস্থাপনের সময় ইউজিসির বরাদ্দকে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে কোষাধ্যক্ষ এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইউজিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ছিল ১ হাজার ২৫১ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৯৭৮ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে প্রায় ২৭৩ কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চাহিদার চেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, যা গবেষণার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বাধা দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেট ছিল ৯৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হ্রাস পেয়েছিল ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গবেষণায় বরাদ্দ ছিল ২০ কোটি টাকা।

সালাউদ্দিন/সাএ