
দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা নিয়ে এলো শীর্ষস্থানীয় বিটুবি প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপ এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এবং প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আশিকুল আলম খাঁন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো প্রিয়শপের প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মূলধনের ঘাটতি দূর করা। ব্র্যাক ব্যাংক ডাটা-বেজড ক্রেডিট স্কোরিং এবং লেনদেনের রিয়েল-টাইম ভিজিবিলিটির মাধ্যমে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করবে। এই ঋণের পুরো প্রক্রিয়াটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ব্যবসায়ীরা সহজে এবং দ্রুততার সঙ্গে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণ নিতে পারেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, "এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উদ্ভাবনী উপায়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রিয়শপের ইকোসিস্টেমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঋণ প্রক্রিয়া যুক্ত করার মাধ্যমে আমরা আর্থিক লেনদেনের জটিলতা কমিয়েছি এবং দেশজুড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের সুযোগ তৈরি করেছি। এই মডেল গ্রামীণ উদ্যোগগুলোকে নতুন করে গড়ে তোলার সম্ভাবনা রাখে।"
প্রিয়শপের অর্ডার ও ডেলিভারি সিস্টেমের সঙ্গে এই ঋণ সুবিধাটি যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের জামানত, কাগজপত্র অথবা সরাসরি ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রিয়শপের অন্তর্ভুক্ত মুদি ব্যবসায়ীরা খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল ক্রেডিট অ্যাক্সেস, অধিক রিস্টক ও বিক্রয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বেশি মুনাফা লাভ করতে পারবেন।
প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আশিকুল আলম খাঁন বলেন, "ক্ষুদ্র ব্যবসার টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি হলো সহজে ঋণ পাওয়া। অথচ বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এখনো সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় আমরা এই ঋণ ব্যবস্থাকে সরাসরি আমাদের সাপ্লাই চেইনের মধ্যে এমনভাবে যুক্ত করেছি, যাতে খুচরা বিক্রেতারা আরও সহজ, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে তাদের ব্যবসাকে প্রসারিত করতে পারেন।"
এই উদ্যোগটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রাথমিকভাবে, দেশের বিভিন্ন জেলার সবচেয়ে সক্রিয় ও ভালো পারফর্ম করা মুদি ব্যবসায়ীদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হবে। পরবর্তীতে, ২০২৫ সালের মধ্যে এটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে দেশের প্রতিটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এই সুবিধার আওতায় আসতে পারেন।
সর্বশেষ খবর
কৃষি, অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর